স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত , নদীয়া, ১৫ জুন: প্রায় চার বছর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের পূর্নগঞ্জ সজল ধারা প্রকল্পে সোলার প্ল্যানেট বসিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ইলেকট্রিক খরচ বাঁচিয়ে গ্রামবাসীদের আর্সেনিকমুক্ত পরিশোধিত জল বন্টন করা। কিন্তু এই জলে একটুতেই আয়রন জমে যায়। যার ফলে ব্যাকওয়াশ না করলে কোনওভাবেই জলকে আয়রন মুক্ত করা যায় না। মানুষ পরিশোধিত জলও পায়না। গ্রামবাসীদের অসুবিধা হয়।
এই সময় গ্রামবাসীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন চন্দননগর কেসি গার্লসের স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা লিপি সরকার। স্বামী ছিলেন সেনা অফিসার। স্বামী মারা যাবার পর পুর্নগঞ্জের বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের সদস্যা। স্ তিনি প্রতিদিনই জেলা পরিষদে যাওয়ার আগে ঝাঁটা দিয়ে এই জায়গাটা পরিষ্কার করেন। মাঝে মাঝে ব্লিচিং দিয়েও পরিষ্কার করতে ওঁনাকে দেখা যায়।
লিপি সরকার জানান, আমি জেলা পরিষদের সদস্য পরে, আগে আমি একজন গ্রামবাসী। আমি আমার নিজের বাড়ীর মতন করে এই জায়গাটা পরিস্কার করি ব্যাকওয়াশ করি, যাতে আশেপাশের লোকেরা এই জলটা পান করতে পারেন। জনসেবামূলক কাজ করতে আমার ভালো লাগে। এছাড়া এখন করোনার প্রকোপ, ডেঙ্গু ধরা পড়ছে সেই জন্য আমাকে এই জায়গাটা পরিষ্কার রাখতেই হয়।
নদীয়া জেলা সভাপতি রিক্তা কুন্ডু বলেন, একজন প্রাক্তন শিক্ষিকার কাছ থেকে গ্রামবাসীরা তো এটাই আশা করেন। ওঁনাকে আমরা মেম্বার হিসাবে পেয়ে গর্বিত। উনি খুবই সচেতন মানুষ। ওঁনার মতন আমাদের এগিয়ে আসা উচিত।