আমাদের ভারত, ১৭ নভেম্বর: শরীরের অলি-গলিতে লুকিয়ে আছে হাজারো সম্মোহন আর হাতছানি। অথচ নাভিতে এসেই যেন ভরাডুবি হয় পুরুষ নাবিকের। আর নারীশরীরের সেই বিশেষ অঙ্গকেই বারবার বড়পর্দায় তুলে ধরতে চান ভারতের তামিল, তেলেগু পরিচালকরা।
বলিউড সিনেমা জগতের চেয়ে তামিল-তেলেগু ছবিতেই যেন বেশি করে ধরা পড়ে নায়িকাদের নাভির সৌন্দর্য। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তামিল-তেলেগু সিনেপ্রেমীদের নারী শরীরের মধ্যে নাভির দিকেই আকর্ষণ বেশি। আর সেই বিষয়টিকেই কাজে লাগান পরিচালকরা। বিশেষ করে কোনও গানের দৃশ্যে নায়িকাকে শাড়ি পরানোর অন্যতম উদ্দেশ্য ওই নাভি প্রদর্শনই। তাদের মতে, এর মাধ্যমে অত্যন্ত সহজেই প্রেম ও আসক্তিকে ফুটিয়ে তোলা যায়। আর দর্শকদের চাহিদাই তো শেষ কথা। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই প্রাধান্য দেওয়া হয় নাভিকে। অভিনেত্রী সিল্ক স্মিথার শরীরি ভাষায় মত্ত হয়ে উঠতেন দর্শকরা।
একটি ইন্টারভিউতে তামিল সিনেমা থেকে বলিউডে আসা অভিনেত্রী তাপসি পান্নু বলেছিলেন, কস্টিউম ডিজাইনারদের একটা কথাই বলা হয়। পোশাক যতটা পারো নাভির নিচে রাখো। তাহলেই বাজিমাত। অনেক পরিচালক জানিয়েছেন, নারীর নাভির প্রতি দর্শকদের এতটাই আকর্ষণ যে অনেক দক্ষিণী ছবির পোস্টারও তৈরি হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখে। আসলে দিনের শেষে ছবি থেকে কত আয় হল, সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আয়ের অন্যতম হাতিয়ার নারীশরীরের নাভি।
আরও একটি কারণে পরিচালকরা নাভিকে কাজে লাগান। কীরকম? ছবিতে অ্যাডাল্ট কোনও দৃশ্য থাকলে অনেক সময় তাকে ‘এ’ নথিভুক্ত করা হয়। ফলে সব বয়সের দর্শক সেই ছবি দেখা থেকে বঞ্চিত হয়। এই সমস্যারও সহজ সমাধান করে নাভি। নারীশরীরের উত্তেজক স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম নাভি ও নাভির চারপাশের অঞ্চল। ফলে নায়িকার সেই সব অংশ নায়ক ছুঁলেই দর্শকদের উত্তেজনা বা অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বাড়ে।
এভাবেই একাধারে যেমন ছবিতে চাহিদার দিকটি মেটানো হয়, তেমনই এড়িয়ে যাওয়া যায় কোনও অ্যাডাল্ট দৃশ্য। ফলে U/A তকমা পেতে সমস্যা হয় না। সবমিলিয়ে দক্ষিণী সিনেমা জগতে নারীর নাভি, ছবি সুপারহিট করতে বড়সড় ভূমিকা পালন করে। নাভিতে এসেই যেন ভরাডুবি হয় পুরুষ নাবিকের!