Mahabharata, Nrisingha Bhaduri, ‘মহাভারতের কথা’, বিশ্লেষণে ভারতত্ববিদ

আমাদের ভারত, ১০ অক্টোবর: ধর্ম-কাম-অর্থ-মোক্ষকে কেন্দ্র করে জীবনের প্রতিটি অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে ব‍্যাসদেব রচিত মহাকাব‍্যে। কিভাবে সেসব প্রকাশ পেয়েছে, বৃহস্পতিবার এক আলোচনায় তা বিশ্লেষণ করলেন বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ‍্যাপক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী।

গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব্ কালচারের বিবেকানন্দ হলে অনুষ্ঠিত ৫ম কাত‍্যায়নীদাস ভট্টাচার্য স্মারক বক্তৃতায় এবারের বক্তা ছিলেন অধ‍্যাপক ভাদুড়ী। তাঁর বিষয় ছিল “যা নেই ভারতে, তা নেই ভারতে।” মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে বক্তা বিচার-বিশ্লেষণের সাহায্যে হল ভর্তি শ্রোতাদের প্রায় দেড়ঘন্টা একটা উচ্চতর মানসিক মঞ্চে তুলে নিয়ে যান। জোগান অনেক চিন্তার খোরাক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে যাঁর নামাঙ্কিত এই স্মারকসভা, প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রাক্তন অধ‍্যাপক কাত‍্যায়নীদাস ভট্টাচার্য (১৯১৭-৬৬) প্রসঙ্গে, তাঁর জীবন ও গবেষণা নিয়ে কিছু তথ‍্য ভাগ করে নেন তাঁর জ‍্যেষ্ঠপুত্র, প্রাক্তন আইএএস অফিসার অমিতাভ ভট্টাচার্য। জানা গেল, অধ‍্যাপক ভট্টাচার্যের মৃত‍্যুর ৫৪ বছর পরে তাঁর ৫টি অপ্রকাশিত রচনা ছেপে বের করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সোসাইটি ফর ইন্ডিয়ান ফিলোসফি অ্যান্ড রিলিজিয়ন, এল্কিন্স, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, তাদের “জার্নাল অব ইন্ডিয়ান ফিলোসফি আ্যন্ড রিলিজিয়ন” (ভল‍্যুম ২৫, ২০২০)এ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ভূতপূর্ব অধ‍্যাপিকা এবং ওড়িশার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ডঃ সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *