আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৮ ফেব্রুয়ারি: শতাব্দী প্রাচীন জেলাসদরের লাল ভবন যা একসময় মহকুমা শাসকের কার্যালয় বলে চিহ্নিত ছিল সেই ভবনটিতেই আপাতত জেলা আদালত স্থাপনের পরিস্কার বার্তা দিয়ে গেলেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের জোনাল জজ রবি কিষাণ কাপুর, আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক সহ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল টানা আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালতের বর্তমান পরিকাঠামো, জেলা আদালতের জন্য আগামীতে কি কি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিকভাবে জেলা জজের আদালত গঠন করবার জন্য নতুন করে কি কি প্রয়োজন তাও জেনে নেয় আগত প্রতিনিধি দলটি। আলিপুরদুয়ারের আইনজীবীদের একটি বড় অংশ আশাবাদী খুব শীঘ্রই আলিপুরদুয়ারে জেলা আদালতের কাজ শুরু হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালেই আলিপুরদুয়ারে চলে আসেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। দুপুর আড়াইটে নাগাদ মন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা, আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীরা পৌছে যান আলিপুরদুয়ার আদালত চত্বরে। আসেন জোনাল জজ সহ প্রতিনিধি দলটি। প্রথমে লাল ভবনে আপাতত নির্দিষ্ট হওয়া জেলা জজের অফিস, আদালত কক্ষ ঘুরে দেখেন। এরপর পরিদর্শক দলটি চলে যান জেলা জজের আবাসনের জন্য বরাদ্দ হওয়া জমিটিতে। সেখান থেকে চলে যান জলা আদালতের জন্য বরাদ্দ হওয়া প্রকান্ড জমিতে। সেখান থেকেই প্রতিনিধি দলটি চলে যান।
আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান,“আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষের দরবারে বিচার ব্যাবস্থাকে পৌছে দিতে। এব্যাপারে হাইকোর্টের কিছু ব্যাপার আছে। সেইসব মিটে গেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ হবে।”
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতের মূল ভবনটি ইন্টিগ্রেটেড হতে চলেছে। প্রথমিকভাবে জানা গেছে, প্রস্তাবিত ৭ তলা ভবনে একসঙ্গে ২০টি আদালত থাকবে। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানান, “আমরা প্রতিনিধি দল এবং হাইকোর্টের বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তাতে আমাদের মনে হয়েছে তারা খুশি। আশা করছি সব বাধা কাটিয়ে খুব দ্রুত জেলা আদালত শুরু হবে আলিপুরদুয়ারে।”
সম্পাদক সহৃদ মজুমদার জানান,“আপাতত যে পরিকাঠামো রয়েছে তার উপর সাময়িক কিছুদিনের জন্য জেলা আদালত হতে পারে। তবে জেলা আদালতের মূল ভবন নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে ডিপিআর তৈরী করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।” এদিকে জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার ফের হাইকোর্টের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আলিপুরদুয়ারে আসছে। জেলাশাসকের কাছে যেমন পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে তেমনি আগামী পরিদর্শনে ফের রিপোর্ট সংগ্রহ করবে প্রতিনিধিদল।মলয় ঘটক জানান, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।