রাজেন রায়, কলকাতা, ৪ অক্টোবর: করোনা শুধু সাধারণ মানুষের জীবনকেই বিপন্ন করেনি, সরাসরি আঘাত হেনেছে মানুষের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রেও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে লকডাউনের কারণে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় কর্মচ্যুত হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি স্কুল বন্ধ করিয়ে শিশুদেরও ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
আর্থিক অনটনের কারণে গরিব ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশু-কিশোরদের পড়াশোনা, খেলাধুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য এই শিশু-কিশোরদের একাংশকে নামতে হয়েছে নানা ধরনের শ্রমনির্ভর কাজে। এমনকী, কোথাও কোথাও পাচার থেকে যৌন হেনস্থারও কার্যকলাপেরও শিকার হতে হয়েছে।
বাংলাতেও শিশু-কিশোরদের কাজে নামানোর কথা কানে এসেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এনিয়ে জনস্বার্থে মামলা রুজু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের শ্রম দফতর। নতুন শ্রম কমিশনার অভিনব চন্দ্রের নির্দেশে বাস্তবে এই নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি কী, তা জানতেই জেলা ভিত্তিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি কোথায় কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও খোঁজখবর চালানো হবে। তারপরেই এই নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে।