জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৪ অক্টোবর:
রাজ্যের অন্যান্য করোনা প্রবণ জেলাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন। এই জেলাতেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় ত্রিশ জন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। শুক্রবার রাতে প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী গত চব্বিশ ঘন্টায় ঝাড়গ্রামে তেত্রিশ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মাত্র আটটি ব্লক নিয়ে গঠিত এই নতুন জেলায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮৭ জন তার মধ্যে ৬৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৫ জন। গত চব্বিশ ঘণ্টাতেই ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। এর মধ্যে একজন ঝাড়খন্ড রাজ্যের বাসিন্দা। এই তিনজন ২৬, ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিক্ষোভের জেরে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিকাঠামোর বিষয়গুলি তাদের কাছে তুলে ধরা হয়।
এর মধ্যে গতকাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক যুবক তিনতলার কার্নিশে উঠে নীচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করলে হুলুস্থুল পড়ে যায় এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, হাসপাতালের কিছু সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গতকাল যে যুবক হাসপাতালের কার্নিশ থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল পুলিশ তাকে উদ্ধার করার পর তার বাড়ির লোকজন তাকে ডিসচার্জ করে নিয়ে গেছেন।
চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস জানিয়েছেন, করোনা চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতি করা প্রয়োজন। নইলে মৃত্যুর হার আটকানো সহজ হবে না। সব মিলিয়ে জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে জেলা প্রশাসন।