Jalpaiguri, জাতীয় সড়কের জমি দখল করে বাড়ি, সাত দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ জলপাইগুড়ি ব্লক প্রশাসনের

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৪ ডিসেম্বর: জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী সার্কিট বেঞ্চ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। সার্ভিস রোডের জন্য প্রয়োজন রাস্তা। এদিকে জাতীয় সড়কের জমি দখল করে তৈরি হয়েছে একাধিক বসতবাড়ি। প্রশাসনের তরফে কয়েকবার নোটিশ করার পরেও সরকারি জমি দখল করে তৈরি করা বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়া কিংবা ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে না। বুধবার জেলাশাসকের নির্দেশে এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করলো ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। এলাকাবাসীদের সাত দিনের মধ্যে বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হলো ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামো। পরিকাঠামোর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হতে চলছে। হাইকোর্টের সার্ভিস রোডের জন্য জমি প্রয়োজন। অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জমি দখল করে তৈরি হয়েছে ২৫টি বসতবাড়ি। জমির দলিল কিংবা পাট্টা না থাকা সত্যেও সেখানে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন পরিবারগুলি। ২৪ জুলাই এলাকার বাসিন্দাদের নোটিশ দিয়ে সরে যেতে বলা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কেউ সরে যাননি, এরপর আবার নোটিশ দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। ২১ নভেম্বর আবার নোটিশ দিয়ে সরে যেতে বলা হয়। কাজ না হওয়ার এদিন ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা পুলিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে এসে বাড়ি ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। নিজেরা বাড়ি না ভাঙ্গলে প্রশাসনের তরফে বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে দাবি প্রশাসনের।

এলাকাবাসীদের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। এখন তাঁরা কোথায় যাবেন বুঝে উঠতে পাচ্ছেন না। এলাকাবাসী তামিনা খাতুন বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকায় বসবাস করছি। এখন আমাদের তুলে দিলে কোথায় যাব। ত্রিপল টাঙিয়ে রাস্তার পাশে থাকতে হবে।”

এদিকে সদর বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, হাইকোর্ট থেকে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ আমাকে জেলাশাসক দিয়েছেন, এই কারণে এলাকায় এসে সকলকে সরে যেতে বলা হল। এলাকাবাসী সাত দিনের সময় চেয়েছে, আশাকরি সকলে সরে যাবেন। তাঁদের পুনবাসন কোথায় কিভাবে দেওয়া হবে এই বিষয়টি জেলাশাসক বলতে পারবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *