আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৫ এপ্রিল: দেশে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তাতে চিন্তিত এ রাজ্য। বীরভূম জেলায় এখনও পর্যন্ত কোনও আক্রান্তের খোঁজ না মিললেও সাবধানতায় ফাঁকফোকর রাখতে চাইছে না স্বাস্থ্য দফতর। তাই তারাপীঠের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তৈরি করা হল আইসোলেশন সেন্টার।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে মহকুমার তিনটি জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। শুধু রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ৬০ শয্যার আইসোলেশন বিভাগ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু-তিনটি করে আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
তারাপীঠের ওই বিলাসবহুল হোটেলে ৪০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধীনে ১২৫ টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ভবন, কমিউনিটি হল, স্কুল-কলেজ, হোটেলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ দে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সব কিছু আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ওই বিলাসবহুল হোটেলে ৪০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালের মতোই পরিষেবা দেবেন। প্রয়োজন হলে বিভিন্ন নার্সিং হোম, স্কুল-কলেজ, হোটেলেও আইসোলেশন সেন্টার করা হবে। তবে পরিস্থিতি সেদিকে গড়াবে না বলে জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের ধারনা।
এখনও পর্যন্ত রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে দুই জন এবং ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ষাটপলসা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারা কেরল ও মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন। তাদের জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট থাকায় লালার নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন। কারও কারও বিদেশ যোগ রয়েছে। তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অনেককেই ১৪ দিন রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকেও কারও ভাইরাসের নমুনা মেলেনি।