স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ১ জুন: এবার সরকারি অনুষ্ঠানেও ব্রাত্য ইসলামপুরের বিধায়ক। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। বিধায়কের অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য রেখে শুধুমাত্র ইসলামপুর পুরসভার পুরপিতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার ইসলামপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ইসলামপুর মহকুমা ষ্টেডিয়ামে এক ফুটবল খেলার উদ্বোধন হয়। মহকুমা প্রশাসনেরর তরফ থেকে এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসক, ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, ইসলামপুর পুরসভার পুরপিতা, ইসলামপুরের বিডিও, মহকুমা যুব আধিকারিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা। সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে আমন্ত্রণই জানায়নি মহকুমা প্রশাসন।
সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রন না জানানোর ঘটনায় জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন যাবদ ইসলামপুরের বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নবজোয়ার যাত্রায় গরহাজিরও ছিলেন বিধায়ক। বিধায়কের এই ভূমিকা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নজরে আসার পর দলের নেতাদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে নেবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর নামকাওয়াস্তে বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি বলে অভিযোগ বিধায়কের। বিধায়ক জেলা সভাপতিকে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলেন। বিধায়কের সেই শর্তের মান্যতা দেওয়া জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে কঠিন কাজ হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতার বিবাদ এবারে প্রশাসনের কাজেও প্রভাব পড়ল। বুধবার বিধায়ককে বাইরে রেখেই ইসলামপুর ষ্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার উদ্বোধন হল। মহকুমা প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি জানান, মহকুমা শাসক একজন আই এ এস অফিসার। উন্নয়নের কথা বললেই তিনি আইন দেখান। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানো কোন আইনে আছে তা নিয়ে মহকুমা শাসককে প্রশ্ন করেন তিনি। তার আরও অভিযোগ, চক্রান্ত করেই সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসলামপুরের মহকুমা শাসক মহঃ আব্দুল শাহিদ বলেন, এর উদ্বোধন আগেই হয়েছিল, আজ একটি মাত্র ফুটবল খেলা এখানে অনুষ্টিত হচ্ছে। এরপর বড় কোনো টূর্ণামেন্ট হলে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েই করা হবে।

