আমাদের ভারত, ২৪ এপ্রিল: পেহেলগাঁও- এ যারাই হামলা করেছে তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পর আজ বিহারের মধুবনী থেকে এমনই হুঙ্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জঙ্গিদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বিহারের মধুবনীতে পঞ্চায়েতী রাজের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমেই পেহেলগাঁও- এ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, নীরবতা পালন করেন। বিহার দেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার পরেই সোজা পেহেলগাঁও প্রসঙ্গে ঢোকেন প্রধানমন্ত্রী। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে, একাধিক আহত। তাদের পাশে ১৪০ কোটি দেশ রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, যেভাবে মেরেছে তাতে পুরো দেশ ব্যথিত। কোটি কোটি দেশবাসী আজ দুঃখে আছে। যাদের চিকিৎসা চলছে তারা খুব তাড়াতাড়ি যাতে সুস্থ হয়ে যান তার চেষ্টা করছে সরকার। এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেউ ছেলে, কেউ ভাই, কেউ জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ বাংলা বলতেন, কেউ কানাড়া বলতেন, কেউ ওড়িয়া। কেউ ছিলেন মারাঠি, কেউ গুজরাতি, তো কেউ বিহারের। ওদের মৃত্যুতে কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী সকলের দুঃখ ও আক্রোশ একই রকম।
মোদী বলেন, শত্রুরা দেশের আত্মায় হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। সাজা দেওয়া হবে। তাদের এমন সাজা দেওয়া হবে যা তারা কল্পনাও করতে পারছে না। বিশ্বের যেখানে তারা লুকিয়ে থাকুক খুঁজে খুঁজে বার করে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
মোদীর স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করবেন না কেন্দ্রীয় সরকার। বিহারের মাটি থেকে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, দেশের বিরুদ্ধে আঘাত যারা এনেছে তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। কেবল তাই নয়, এমন ঘৃণ্য অপরাধে যাদের মদত রয়েছে তাদেরও ছেড়ে কথা বলা হবে না। মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছা শক্তি সন্ত্রাস দমন করবেই।
মঙ্গলবার কাশ্মীরের পেহেলগাঁও পর্যটকদের ওপর নারকীয় অত্যাচারের পর ট্রাম্প সহ অনেকেই ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, শান্তি ও সুরক্ষা বিকাশের প্রথম শর্ত। সেই শর্ত পূরণ করতেই হবে।