কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য জায়গা দিতে মাদ্রাসা এবং মসজিদ কমিটি কাছে আবেদন ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১২ মে:
এবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য জায়গা দিতে মাদ্রাসা এবং মসজিদ কমিটিগুলিকে অনুরোধ করল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মতে এই বিপদের সময় কিছুদিন মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হোক। প্রয়োজনে অনলাইনে ছাত্র ভর্তি করা যেতে পারে। তারা এই চিঠির প্রতিলিপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও পাঠিয়েছেন।

সম্প্রতি ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল লকডাউনের সময়সীমা পেরোলেও লকডাউন তুলে না নিয়ে বাড়িয়ে দেবার কথা। তাঁদের বক্তব্য ছিল ২৫ মে ইদের আগে যেন লকডাউন তোলা না হয়। এবার আবার ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য জায়গা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা এবং বড় মসজিদ কমিটি গুলির কাছে আবেদন জানানো হল।

বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহঃ ইয়াহিয়া জানান, বর্তমান কোভিড ১৯ এর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ। লক্ষ লক্ষ মানুষের এখন আইসোলেশন সেন্টারের প্রয়োজন হবে। কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারও স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। যাদের সামর্থ্য আছে প্রয়োজনে তারা রোগীকে নিজের বাড়িতে থেকেই কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে নেবে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন শহর থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ এ রাজ্যে ঢুকছে। লকডাউন তুললে এর সংখ্যা আরোও বৃদ্ধি পাবে। এত মানুষকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার দেওয়া রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা কমিটির কাছে তাঁর আবেদন, তাই আসুন আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াই। হাজার হাজার মানুষের জন্য না পারি এলাকার ৫০ জন মানুষকে তো আমরা সাহায্য করতেই পারি। দু-তিন মাস মাদ্রাসা বন্ধ থাকলে এমন কিছু সমস্যা হবে না। অনলাইন বা টেলিফোনে ছাত্র ভর্তি করে রাখুন। সরকার সবকিছু করে দেবে এসব ভাববার সময় এখন নয়।

তিনি এ প্রসঙ্গে মসজিদ কমিটিগুলোকে অনুরোধ করেন, যেসব মসজিদে অনেক বেশি জায়গা আছে সেগুলোকেও আইসোলেশন সেন্টার বানাতে এগিয়ে আসুন। এখন গোঁড়ামির সময় নয়। যদি একজন কেও এই মারণ রোগ থেকে বাঁচানো যায়, সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচাবার স্বাদ পাওয়া যাবে। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে দারুল উলুম- দেওবন্দ মাদ্রাসা তার বিল্ডিং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য ছেড়ে দিয়েছে তখন আমরা কেন পারব না? পশ্চিমবাংলার ২০০০ মাদ্রাসা কমিটির কাছে আমার অনুরোধ তারা যেন মাদ্রাসার বিল্ডিং গুলো খুলে দেন। সরকারের কাছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দিন এই বিল্ডিংগুলো যাতে তারা অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন সেন্টার করার কথা বিবেচনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *