আমাদের ভারত, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে নারী নিগ্রহের প্রতিবাদে বিজেপিকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বুধ ও বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে ধর্নার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।
এই মামলায় বিচারপতির গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, জমায়েত হওয়া ও ধর্না সাংবিধানিক অধিকার। উপযুক্ত কারণ থাকলে এই অধিকার কখনোই বন্ধ করা যায় না। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দেড়শো জন জমায়েত নিয়ে এই ধর্না করতে হবে। ব্যবহার করা যাবে না মাইক। কোনো সমস্যা হলে মামলাকারীর ওপরই দায় বর্তাবে।
বুধবার থেকে আগামী দু’দিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সন্দেশখালির ঘটনার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসবেন সুকান্ত মজুমদাররা।
প্রায় দেড় মাস হল সন্দেশখালি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এর আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন সুকান্ত মজুমদার। ১৪৪ ধারা জারি আছে এই অজুহাতে বারবার তাকে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে আটকানো হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে তিনি বারবার বচসাতেও জড়িয়েছেন। এমনকি প্রথম বার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। এরপর সুস্থ হয়ে আবারও সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করে বাধা পেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি পৌছান।
এবার সন্দেশখালি কান্ডের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না অবস্থানে বসতে চাইলে পুলিশ তাকে অনুমতি দেয়নি। তারপরেই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
পুলিশের কথা ছিল বোর্ড পরীক্ষার কারণে অনুমতি দেওয়া যাবে না। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার হাইকোর্টের কাছে জানান, ওই একই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ধর্নায় বসতে পারেন, সেক্ষেত্রে যদি অনুমতির কোনো সমস্যা না হয় তাহলে তার ক্ষেত্রে কেন হবে? তারপরেই আজ আদালত তাকে শর্তসাপেক্ষে ধর্নায় বসার অনুমতি দিল।