সাথী দাস, আমাদের ভারত, পুরুলিয়া, ১১ সেপ্টেম্বর: তরুণীর করোনা পরীক্ষার জন্য ৭ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। রাহুল ব্যানার্জি নামে ওই স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে তরুণীকে ফোনে কু- প্রস্তাব দেওয়ার ও হয়রানির অভিযোগ উঠল। শুক্রবার, ওই তরুণী পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপির উদ্দেশ্যে ওই স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগ করে তিনি জানান, কয়েক দিন আগে উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে করোনা টেস্ট করতে আসেন ওই তরুণী। সেই সময় তার নাম ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার নেওয়া হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপর থেকে ওই তরুণীর ফোন নম্বরে ওই স্বাস্থ্যকর্মী যোগাযোগ করতে শুরু করে। ফোনে ওই তরুণীকে করোনা পরীক্ষার জন্য ৭ হাজার টাকা দাবি করা হয়। নানাভাবে হয়রানি করা হয়। একই সঙ্গে ফোনে মেসেজ করে করোনা পরীক্ষা ৭ হাজার টাকা মুকুবের বিনিময়ে কুরুচিকর ভাষায় প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সরকারি হাসপাতাল থেকে এইভাবে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করা এবং করোনা পরীক্ষার জন্য টাকা চাওয়ায় হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই তরুণী। বিষয়টি নিয়ে “পাশে আছি” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে জানান। তাদের সহযোগিতায় এদিন হাসপাতালে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মুখোমুখি হন ওই তরুণী। পরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি সুকোমল বিষয়ীর উদ্দেশ্যে ওই স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। এনএসপি দফতরে ছিলেন না। তিনি অভিযোগটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
সরকারি হাসপাতাল থেকে এইভাবে একজন দায়িত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কর্মী কী করে টাকা চান এবং খারাপ আচরণ করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন ‘পাশে আছি’ নামে ওই সংস্থার পক্ষে তুষার অবস্তি। তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের আচরণ কারো পক্ষে কাঙ্ক্ষিত নয়। এই ধরনের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি। একই সঙ্গে এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন রাখছি কর্তৃপক্ষের কাছে।