আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২৭ আগস্ট:
কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন রোগীরা করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ হলে সংকট তৈরি হয়। সেই কথা মাথায় রেখে কোভিড পরিস্তিতিতে কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন সকলকেই যথেষ্ট সচেতন ও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। কারা কতটা কোমর্বিডিটিতে রয়েছে, কার কি কি অসুখ রয়েছে এবার তাও খতিয়ে দেখবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে করোনা পরিস্তিতিতে আরও নিবিড় ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে এবার আরও একটি পদক্ষেপ নিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে। সেই বাড়িতে কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন রোগী রয়েছে কিনা। বৃহস্পতিবার থেকেই সার্ভের কাজ শুরু করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। টানা ১৫ দিন খোঁজ খবর সংগ্রহ করে তা লিপিবদ্ধ করার কাজ চলবে। জানা গেছে, মূলত আশাকর্মীদের এই কাজে লাগানো হবে। তাদের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই মুহূর্তে জেলায় প্রায় ১০৮৮ জন আশা কর্মী রয়েছেন। তাঁরা ব্যক্তির নাম, বয়স, ঠিকানা, কি কি রোগে ভুগছেন, কত দিন ধরে ভুগছেন সব কিছুরই খবর নেবেন।একবার সার্ভের কাজ শেষ হলেই নামের তালিকা তৈরি করবে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রয়োজনে কোনও রোগীকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হবে। আবার যদি কারোর ওষুধের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে দ্রুত আশা কর্মীরা সেই বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দিয়ে আসবেন। জেলার ৬৪টি চা বাগান, ৬৮টি বনবস্তি, ৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে কাজটি চলবে।
জানা গেছে, বাড়িতে থাকলেও একজন ব্যক্তি কি কি ওষুধ খাচ্ছেন, কতদিন খাচ্ছেন, বড় কোনও অপারেশন হয়েছে কিনা সব কিছুই লিপিবদ্ধ করবেন আশা কর্মীরা। এদিকে আলিপুরদুয়ার জেলায় গতকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, স্থানীয় ও বহিরাগত মিলিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।অধিকাংশ বয়স্ক। জেলায় ১৫৩৪ জন আক্রান্ত হলেও আপাতত ৯৭৮জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। প্রায় ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের সোয়াব পরীক্ষা করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে অযথা আতঙ্কিত হতে বারন করা হয়েছে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ন গোস্বামী বলেন, “কোমর্বিডিটিতে ভুগছেন যারা তাদের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের সঠিক সময়ে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজনেই জেলা জুড়ে অভিযান চলবে।”

