রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: রবিবার চিকিৎসক অধ্যাপক নিয়োগের তালিকা প্রকাশের পর তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল চিকিৎসক সংগঠন। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে তথ্য সুরক্ষা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। এমডিএমএসদের এড়িয়ে এমবিবিএসরা নিয়োগ পেয়েছেন এবং এক এক জন ৭ থেকে ১৩টি নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার এই অভিযোগকে আংশিক মান্যতা দিল স্বাস্থ্য দফতর।
শিক্ষক-চিকিৎসকের নিয়োগ ঘিরে তিনটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তার মধ্যে প্রথমটি ছিল বিজ্ঞপ্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একই ব্যক্তি কীভাবে একাধিক বিষয়ে নিয়োগ পেলেন। নিয়োগ তালিকা অনুযায়ী, ২৫ জন আবেদনকারী ৭৪টি বিষয়ে আরএমও পদে সুযোগ পেয়েছেন। যেখানে ২৫ জনের ২৫টি বিষয়ের বেশি সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল না। এখানেই সংশোধন করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ঠিক হয়েছে, এ ধরনের আবেদনকারীকে তাঁদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে বলা হবে। এরপর আরও যে সকল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম রয়েছে সেখান থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার পরে রিজার্ভ তালিকা থেকে অন্যদের সুযোগ দেওয়া হবে। এর আগে অবশ্য রিজার্ভ তালিকার কথা ঘোষণা করা হয়নি।
তবে আর দুটি অভিযোগের সারবত্তা নেই বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। এমডি-এমএস’দের টপকে মাত্রাতিরিক্ত এমবিবিএসদের কেন নিয়োগ করা হল তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না থাকায় অনেক যোগ্য এমডি-এমএসদের চেয়েও নিয়োগ করা যায়নি। কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ইন্টারভিউয়ের আগের দিন পর্যন্ত এনওসি জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। যার প্রেক্ষিতে হেলথ সার্ভিস থেকে মেডিক্যাল এডুকেশনে স্থানান্তরের জন্য আবেদনকারীরা এনওসি পেতে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন কি না সে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও হেলথ সার্ভিসের কর্তারা সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তৃতীয় অভিযোগ ছিল, এমবিবিএস হয়েও তৃণমূলের শীর্ষ নেতার ছেলে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে নিয়োগ ঘিরে। এ বিষয়ে হেলথ রিক্রুটমেন্ট কর্তাদের বক্তব্য, নিউরো মেডিসিনে কোনও ডিএম ক্যান্ডিডেট ছিলেন না। ঠিক তেমনই প্লাস্টিক সার্জারিতে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। সিটিভিএস, জিরিয়াট্রিক মেডিসিনেও আবেদনের সংখ্যা নগন্য ছিল। সেই কারণে এই অভিযোগেরও কোনও সারবত্তা নেই।