আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৫ আগস্ট: এক জুটমিল শ্রমিকের হাত, পা কাটা মুণ্ডহীন মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া থানার অন্তর্গত বেল্লে শংকরপুর এলাকায়। নিহত ওই যুবকের নাম জামিল আখতার (২২)। বাড়ি
ভাটপাড়ার ১ নং গলিতে। মঙ্গলবার সকালে জামিল আখতারের নৃশংস মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ।
জানাগেছে, পেশায় জুটমিল শ্রমিক জামিল আখতার গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল, তারপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। তার পরিবারের সদস্যরা ভাটপাড়া থানায় ওই যুবকের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। ওই যুবকের মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর জামিল আখতারের নৃশংস মৃতদেহ তার বাড়ি থেকে অন্তত ৩ কিমি দূরে ধানক্ষেতের মধ্যে থেকে মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করল পুলিশ।
ভাটপাড়া এলাকার বেলে শংকরপুর এলাকার চাষিরা মঙ্গলবার সকালে চাষ করতে গিয়ে দেখে ধানক্ষেতের মধ্যে এক যুবকের পচাগলা মুন্ডুহীন দেহ পড়ে আছে। এরপরে তারাই ভাটপাড়া থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশই জামিল আখাতারের পরিবারকে খবর দেয় আদৌ দেহটি তাদের পরিবারের সদস্যের কি না শনাক্ত করার জন্য। জামিল আখতারের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ শনাক্ত করে। মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গও কাটা ছিল। নিহতের ভাই মহম্মদ ইকবাল বলেন, “ভাই জুটমিলে কাজ করত। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর সে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। আমরা পুলিশে ওর নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, খুবই নৃশংস ভাবে ওকে খুন করা হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি চাইছি আমি।”

জামিল আখতারের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল কী না, তা খতিয়ে দেখছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। এদিকে ধানক্ষেতে নৃশংস অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা সকলেই এই ঘটনাকে খুন বলে মনে করছেন। তারা ভাটপাড়া থানার পুলিশের কাছে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ভাটপাড়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

