আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৬ এপ্রিলঃ মদের উপর বাড়ল রাজস্ব কর। এক লাফে ৩০ শতাংশ রাজস্ব কর চাপাল রাজ্য সরকার। আবগারি দফতরের পক্ষ থেকে জানানোহয়েছে, বিক্রয় কর নতুন করে চাপান হয়েছে। অভিযোগ, লকডাউনের সুযোগ নিয়ে সরকার মদের কালোবাজারি করছে।
প্রথমে জনতা কার্ফু। তারপর লকডাউনের ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল মাদকাসক্তরা। দ্বিতীয় দফায় আরও একুশদিন লকডাউন ঘোষণা করায় কেউ কেউ চড়া দামে মদ ক্রয় করছিল কালোবাজারিদের কাছে থেকে। সেক্ষেত্রে নকল মদে ছেয়ে গিয়েছিল বাজার। সেই মদ খেয়ে অসুস্থ হচ্ছিলেন বহু মানুষ। আবার কোথাও কোথাও হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়েও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। সেই সব কথা মাথায় রেখে মাদকাসক্তদের জন্য হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা চালু করল সরকার। সকাল থেকে দুটো পর্যন্ত অর্ডার নেওয়া হবে, বিকেল ৫টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে সেই মদ। কিন্তু বর্তমান দামের উপর ৩০ শতাংশ বিক্রয় কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরনো দামের উপর নতুন দামের স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা আবগারি দফতরের সুপারিন্টেনডেন্ট বাসুদেব সরকার বলেন, “আগে মদের উপর কোন বিক্রয় কর চাপানো ছিল না। নতুন করে চালু করা হল”। মদের দোকান খোলা এবং দাম বৃদ্ধিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “করোনা মোকাবিলায় গরিব মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছচ্ছে না। অসংগঠিত শ্রমিকদের মজুরি নেই। স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পোশাক দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সরকারের দৃষ্টি পড়েছে মদের উপর। যাদের বাড়িতে খাবার নেই তাদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া হোক। যেটা কেরালা করে দেখিয়ে দিয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতদের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে ব্যস্ত। আর মদ খাওয়াতে উৎসাহিত করে টাকা উপার্জন করতে ব্যস্ত হয়েছে। মানুষ খাবার পাচ্ছে না আর মুখ্যমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা বিজ্ঞাপনে খরচ করছেন। সরকারের স্বদিচ্ছা থাকলে ওই বিজ্ঞাপনের টাকায় মানুষকে খাওয়ানো যেত। তাহলে মদের দাম বাড়াতে হত না”।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী বলেন, “সরকার নিজেই কালোবাজারি করছে। এককথায় কালোবাজারিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাছাড়া উৎপাদনের উপর সরকার দাম পারাতে পারে। নির্ধারিত দামের উপর বিক্রয় কর চাপাতে পারে না”।