আমাদের ভারত, দার্জিলিং, ২৮ জুলাই: পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে বারবার আগুন জ্বলেছিল। আশির দশকে জিএনএলএফ নেতা সুভাষ ঘিসিং এর নেতৃত্বে এবং ২০০৭ ও ২০১৭ তে মোর্চা নেতা বিমল গুরুং এর নেতৃত্বে। একটানা পাহাড় বনধের পাশাপাশি প্রচুর গোর্খা শহিদ হন এই আন্দোলনের জেরে। কিন্তু এখনও গোর্খাল্যান্ড হয়নি আগামীতেও তা হবে কিনা সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই এবার এই দাবি থেকে সরে পাহাড়ের উন্নয়নে জোর দেওয়ার কথা বললেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-২ এর কার্যকরী সভাপতি অনীত থাপা।
বুধবার তিনি বিজনবাড়ির দলীয় দফতরে গিয়ে কর্মীদের সাথে দেখা করেন। সেখানেই তিনি বলেন, আমি আর মিথ্যার রাজনীতি করব না। এটা ঠিক গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন গোটা পাহাড়কে এক করে দিয়েছে। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি বরং পাহাড়ের ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছর গোর্খাল্যান্ডের জিগির তুলে নির্বাচন হয়। কিন্তু তারপর আর কিছুই হয় না। গোর্খাল্যান্ডের পেছনে না দৌড়ে পাহাড়ের উন্নয়নের পেছনে দৌড়ানো ভালো। আর তার জন্যই আমি ২০১৭ সালে বিমল গুরুং এর থেকে আলাদা হয়েছি। ওই সময় এই আন্দোলনের জন্য পাহাড়ে আগুন জ্বলছিল। কত ভাই আমাদের মারা গিয়েছে। অনেক কষ্টে সেই পরিস্থিতি থেকে পাহাড়কে উদ্ধার করেছিলাম। তাই আমি আর হিংসাত্মক রাজনীতি করতে চাইনা।
তাঁর আরও বক্তব্য, মিথ্যা রাজনীতি কখনই স্থায়ী হতে পারে না। এই মিথ্যা রাজনীতির সংস্কৃতি না বদলালে আমাদের সমাজ এগিয়ে যেতে পারবে না। রাজনীতি সমাজকে প্রভাবিত করে। মিথ্যা রাজনীতির সংস্কৃতি বেশি থাকলে সমাজ কেমন হবে তা আপনারাই ভেবে দেখুন। আমি চাই দল কেমন ভাবে চলছে তা দলের ক্যাডাররাও জানুক। কোনও কিছুই লুকানো উচিত নয়। আমাদের এমন একটা পরিবেশ তৈরী করতে হবে যাতে আগামী প্রজন্ম নিশ্চিন্তে থাকতে পারে। এছাড়াও তিনি বলেন, পাহাড়ের উন্নয়ন দিল্লি করেনি বাংলার সরকার করেছে। তাই তাদের সাথে হাত মিলিয়েই পাহাড়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য। আর পাহাড়ে আগুন জ্বলুক তা পাহাড়বাসীও চায় না। তাই মিথ্যা আশ্বাস ভুলে উন্নয়নের কাজে এগিয়ে আসুন।