আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের শ্যামচাঁদপুর হাইস্কুল জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যায় ৫০বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় গত ২২ শে নভেম্বর ২০১৮তে। সারা বছর ধরে নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠান চলতে থাকে। যার সমাপ্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হল ২২শে নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার।
মূল অনুষ্ঠানের আগে পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক গৌর মাল। পরে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা ও প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয় বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী-শিক্ষক শিক্ষিকা সহ বহু মানুষ। পরে ৫০ টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন-রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের মহারাজ স্বামী জয়েশানন্দ। প্রধান শিক্ষক মহাশয় স্বাগত ভাষণে সবাইকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম সেনানীর স্মৃতিতে স্বর্গীয় রণজিৎ মল্লিক স্মৃতি পুরষ্কার দেওয়া হবে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধীকারী ছাত্র ছাত্রীদের, এবং বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক স্বর্গীয় দিবাকর চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে মাধ্যমিকে সবোর্চ্চ নম্বর প্রাপক কে ও রামসীতা স্মৃতি পুরস্কার দেওয়ার হবে সঙ্গীতে বিশেষ পারদর্শিতা প্রদর্শনের জন্যে এবং এই পুরস্কার গুলি এ বছর থেকেই প্রতি বছরই দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপিকা রুচিরা গুহ (হিজলী কলেজ,পশ্চিম মেদিনীপুর) মেদিনীপুর কলেজের অধ্যাপক ও কবি সুস্নাত জানা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে বিদ্যালয়ের” স্মরনিকা”প্রকাশ করেন অধ্যাপক ড. সুস্নাত জানা। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা রামদাস রামানুজ দাস মহন্ত মহারাজের আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করেন সৌমেন রামানুজ দাস মহন্ত ও গৌর মাল মহাশয়। পরে ম্যাজিক শো সবাইকে নিয়ে যায় ম্যাজিকের জগতে। এছাড়াও নাচ-গান ও আবৃত্তি সহ “লালকমল ও নীলকমল”এবং সমাজসচেতনা মূলক নাটক “জাগো” অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী দের দ্বারা। সন্ধ্যা নামার পর আলোর রোশনাধারায় আলোকিত হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। অনুষ্ঠানের শেষলগ্নে অতিথি শিল্পী মাতুয়ার মল্লিক মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করে উপস্থিত সকলের মন জয় করে নেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় ঝুমুর লোকসঙ্গীত। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক শান্তনু বিশুই ও শিক্ষক সুভাষচন্দ্র পয়ড়্যা।