আমাদের ভারত, ১৭ সেপ্টেম্বর: এক নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নিজের লোকসভা এলাকায় চালু করলেন সাংসদ শারদ সম্মান এবং শোভাযাত্রা প্রতিযোগিতা। দক্ষিণ দিনাজপুরের আর ডি ব্লক ও উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার মিলিয়ে মোট নটি ব্লকজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতার।
জানা গিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার ফর্ম বিক্রি করা হবে। সদর বালুরঘাটে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানাধিকারী এবং প্রতিটি ব্লকে সেরা তিনটি পুজোকে নির্বাচিত করে পুরস্কার দেওয়া হবে। এই উদ্যোগে নগদ পুরস্কারই দেওয়া হবে। প্রথম স্থান অধিকারী পাবে ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পাবে ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী পাবে ১০ হাজার টাকা। ব্লক ভিত্তিক প্রতিযোগিতাতেও থাকছে আর্থিক পুরস্কার।
পুজোর ভাসানের দিন আয়োজন হবে এক বিশাল শোভাযাত্রা প্রতিযোগিতার। যেখানে দেশাত্মবোধক ও বাংলা সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে থিম তুলে ধরার আবেদন করা হয়েছে। এখানে প্রথম স্থানাধিকারী পাবে ৩ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পাবে ২ লক্ষ, তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবে এক লক্ষ টাকা। এছাড়াও ১০ জন অংশগ্রহণকারী ক্লাবকে দেওয়া হবে দশ হাজার টাকা করে সান্তনা পুরস্কার।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা বাংলার প্রকৃত সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই। দুর্গাপুজো মানে শুধু গান বাজনা বা উল্লাস নয়, এর মধ্যে হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য লুকিয়ে রয়েছে। যারা সেটা ধরবেন তাদের আমরা সম্মান ও পুরস্কৃত করবো। তিনি আরো জানান, একবার শুরু করার পর তিনি চেষ্টা করবেন যতদিন সাংসদ থাকবেন ততদিন এই পুরস্কার চালিয়ে যেতে।
রাজ্য সরকারের অনুদান বিতর্কের মধ্যে সাংসদের এই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি বাংলার পুজোর ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। বালুরঘাটের মানুষ ইতিমধ্যে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে উৎসাহিত। সাংসদের এই উদ্যোগে তারা খুশি এবং তাদের মতে এর ফলে পুজো আরেকটু উৎসবমুখর হয়ে উঠবে এবং স্থানীয় প্রতিযোগিতার আবহে নতুন মাত্রা পাবে। তবে এই উদ্যোগ উত্তরবঙ্গে নতুন। অন্যদিকে সাংসদের জনসংযোগ বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল যা বলার অপেক্ষা রাখে না।

