আমাদের ভারত, মালদা, ২৫ আগস্ট: বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ছে গঙ্গা নদীর জল। জল ঢুকে পড়েছে মানিকচকের অসংরক্ষিত এলাকায়। রামনগর জোতপাট্টা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকতে আরম্ভ করেছে। ডোমহাটের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জোতপাট্টা–রামনগরের যোগাযোগ। গ্রামের রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জল।
গঙ্গার জলে প্লাবিত মালদার মানিকচকের রামনগর এলাকা। বেশকিছু গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় জলবন্দি হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। তারা কোনো রকমে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনিক মহল থেকে তাদের কোনো খোঁজখবর নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দা সেখ সাফিরুদ্দিন বলেন, গঙ্গার জল বেড়ে যাওয়ার ফলে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। যার ফলে গ্রামের প্রচুর মানুষ জল বন্দি অবস্থায় রয়েছে। নেই কোনো নৌকা বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। যার ফলে রাতের অন্ধকারে তাদের আতংকে কাটাতে হচ্ছে।কয়েকদিন ধরে গ্রামে জল ঢুকলে প্রশাসনিক কর্তারা এখনো পর্যন্ত তাদের গ্রামে আসেননি। ফলে নিজেদের উদ্যোগে তাদের উঁচু স্থানে সরে যেতে হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত গ্রামে ত্রাণ এসে পৌঁছায়নি।

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল বলেন, কিছু কিছু গ্রামে জল ঢুকেছে। যার ফলে রামনগর, জোতপাট্টা,গদাইরচর নারায়ণপুর অন্যদিকে কালিয়াচক মোথাবাড়ি ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় প্রচুর ভাঙ্গন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক বৈঠক করেছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা হবে।জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেচ দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে গ্রামে জল ঢুকলেও জেলা প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। যার ফলে গ্রামের বাসিন্দারা চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। আমরা আবেদন করব প্রশাসন, সেচ দপ্তর যাতে দ্রুততার সঙ্গে তাদের পাশে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে বিজেপিও তাদের পাশে থেকে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করবে।

