স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৮ জুলাই: “প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে দিয়েছে করোনা। সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে সমস্ত ধরনের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশাল আঘাত হেনেছে করোনা।” এমনটাই মনে করছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক সুদীপ ভৌমিক। বহু খুদে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই করোনার কারনে। শেষ হয়ে গিয়েছে জেলার একমাত্র স্টেডিয়ামের মাঠ। জল আর ঘাসে পরিপূর্ণ এই খেলার মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন প্রচুর টাকার। করোনা জর্জরিত করে দিয়েছে সব ধরনের খেলাকেই।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশকে একশো শতাংশ মান্যতা দিয়ে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, অ্যাথলেটিকস থেকে শুরু করে সব ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অনুশীলন। উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনুর্দ্ধ ১৪ ও অনুর্দ্ধ ১৬ বছরের ক্রিকেট খেলোয়াড়রা। সি এ বি পরিচালিত রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা করোনার কারনে মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার দল সেমি ফাইনালে উঠলেও সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা থেকে খেলোয়াড়রা বঞ্চিত হয়ে পড়ল। যেসব খেলোয়াড়েরা, ২০১৯-২০ সালে অনূর্ধ্ব ১৪ বা অনূর্ধ্ব ১৬ তে খেলেছিল তারা ২০২০-২১ সালের খেলা খেলতে পারবে না, কেননা তাদের বয়সের সীমা পার হয়ে যাবে। ফলে জেলার বহু প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অ্যাথলেটিকস এর ক্ষেত্রেও অনুশীলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আগামীদিনের যেসব প্রতিযোগিতাগুলির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল তা সমূলেই বিনাশ ঘটে গিয়েছে। বিশালাকার রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের মাঠের পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সুদীপবাবু জানান রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দেড় লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে নেই। আমরা রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষ এবং রায়গঞ্জ মহকুমাশাসকের দপ্তরের কাছে আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করব। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের উপরে। কবে যে দেশ করোনা মুক্ত হবে আর কবে যে মাঠ ভরে উঠবে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের কলতানে এখন সেটাই অপেক্ষার।