আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৯ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘদিন রাজ্যের প্রবীণ ব্রাহ্মণদের ভাতার জন্য লড়াই চলছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস শীঘ্রই এর ব্যবস্থা হবে। তারপর দুস্থঃ ব্রাহ্মণদের জন্য চিন্তাভাবনা করা হবে। আজ পূর্ব মেদিনীপুর মেছেদায় একটি মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে এই কথাগুলি বলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি।
রাজীব ব্যানার্জীর উপস্থিতিতে আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ভবতারিণী বঙ্গেশ্বরী কালী মায়ের আরাধনা ও আশ্রমের ভূমি পূজা অনুষ্ঠিত হল মেছেদা পিডাব্লুডি ময়দানে। করোনা পরিস্থিতির থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য বিশ্বশান্তি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।
এদিন ভবতারিণী বঙ্গেশ্বরী কালী মায়ের মন্দির ও আশ্রমের ভূমিপূজো হয় এদিন। মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি এদিন নারকেল ফাটিয়ে ভূমি পূজার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি জানান যে, পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ব্রাহ্মণদের নিয়ে সংগঠিত। প্রবীণ ব্রাহ্মণদের ভাতার জন্য লড়াই চলছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস শীঘ্রই এর ব্যবস্থা হবে। তারপর দুস্থঃ ব্রাহ্মণদের জন্য চিন্তাভাবনা করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট্রের রাজ্য সম্পাদক শ্রীধর মিশ্র জানান, মেছেদায় ৬০ ফুট উচ্চতার মায়ের একটি সুদৃশ্য মন্দির তৈরি হবে। আর মন্দিরটি সহ এলাকাটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে আগামীদিনে পরিগনিত হবে। দীঘায় যেসমস্ত মানুষ বঙ্গোপসাগর দর্শনে যাবেন, তারাও এই মন্দির দর্শন করে যাবেন। তাই মায়ের নাম ভবতারিনী বঙ্গেশ্বরী নামকরন করা হয়েছে। সমস্ত মানুষের কাছে দৃষ্টিনন্দন মন্দির হবে এমনটাই আশা মন্দির কর্তৃপক্ষের। আরো জানানো হয়, আগামীদিনে দাতব্য চিকিৎসালয় ও সর্বধর্মের জন্য গ্রন্থাগার করার পরিকল্পনা রয়েছে।