আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৭ জানুয়ারি: “বীজপুরে দল কাকে প্রার্থী করবে জানি না, তবে আগামী ১৫ই মের পরে এই বীজপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরাই বিজয়া সম্মেলন করবেন,” বললেন বীজপুরের বিধায়ক মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। বীজপুরে তৃণমূল যতই বলুক তারা ভালো জায়গায় আছে, তৃণমূলের সেই বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়।
বীজপুরে বিজেপি সাংগঠনিক শক্তিতে তৃণমূলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে, চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে এসে বীজপুরে জয়ের বিষয়ে ১০০% আশাবাদী হয়ে এই মন্তব্য করলেন শুভ্রাংশু রায়। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন,”শক্ত হাতে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে হবে, যে দেবতা যে ফুলে সন্তুষ্ট তাকে সেই ফুলেই পুজো দিতে হবে।” বীজপুরে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “শাসক দলের সবাই মুকুল রায়ের পাঠশালায় পড়া ছাত্র নয়, তবে যারা মুকুল রায়ের পাঠশালায় পড়াশোনা করেছেন তারা রাজনীতি ভালই বোঝেন। এখন তারাই বিজেপিতে আছেন। বিজেপি গঠনমূলক দল। সবাই এই দলে আসতে পারে না।”
এদিন শুভ্রাংশু রায় মদন মিত্রের সমালোচনা করে বলেন, “মদন মিত্র অভিজ্ঞ নেতা। তবে তাঁর ভাটপাড়ায় ছেলের বয়সী পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানো উচিত হয়নি। উনি মানুষের জন্য এক সময় অনেক কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তবে এখন উনার বয়স হয়েছে তাই মতিভ্রম হয়েছে। কেউ উনাকে বুদ্ধি দিয়েছে উনি আগের জায়গা ফিরে পাবেন, তাই ভাইপোকে খুশি করতে যা ইচ্ছা বলছেন। উনার আশা পূরণ হবে না। ফিরহাদ হাকিমকেও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২০০৭ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্রে তার পরিবর্তে তাপস পালের টিকিট দেওয়ায় কিছু লোকজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির টালির চালে ইট মেরেছিল। কার নির্দেশে কারা সেই ঘটনা ঘটিয়েছিল? ফিরহাদবাবু জানালে ভালো হয়। এই বীজপুরে দল কাকে প্রার্থী করবে জানা নেই, তবে বিজয় মিছিল এই বীজপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরাই করবেন।” বীজপুর বরাবরই মুকুল গড় বলে পরিচিত। এবারও বীজপুর বিজেপির দখলেই থাকবে বলে আশাবাদী বিজেপি কর্মীরা। তবে তৃণমূল বিজেপিকে হারাতে মরিয়া বীজপুরে। কারন তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলের কাছেই প্রেস্টিজ ফাইট এই বীজপুরে। বীজপুরে শেষ হাসি কে হাসবে এখন সেটাই দেখার।