সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা ৬ ডিসেম্বর: চলতি ডিসেম্বরে এটিএম স্কিমার কাণ্ডে প্রথম সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির গ্রেটার কৈলাস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক রোমানিয়ান যুবককে। ধৃতের নাম সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিদোন। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর স্কিমিং ডিভাইস, পিন হোল ক্যামেরা, ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ, ব্যাটারি, ক্যামেরা চিপ-সহ প্রচুর জিনিসপত্র।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সিলভিউ এবং ওর সঙ্গী দিল্লিতে গ্রেটার কৈলাসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। এদিন খবর পেয়ে আগে থেকেই চম্পট দেয় সঙ্গী। কিন্তু নাটকীয় ভাবে ধরা পড়ে যায় সিলভিউ।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি থেকে সিলভিউকে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়। সিলভিউ এবং তার সঙ্গীরা প্রাথমিক ভাবে সকালের দিকে এটিএমে ঢুকত। সেই এটিএমই বেছে নিত, যেখানে সকালের দিকে কম ভিড় থাকে। সোমবার সকাল ৫টা থেকেই গ্রেটার কৈলাসের একটি এটিএমের কাছে ওত পেতে ছিল কলকাতা পুলিশের টিম। প্রথমে সেখানে সিলভিউ ঢুকেও পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরেই এটিএম কাউন্টার থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর অটোয় উঠে পালায়।
তাঁর পিছনে ধাওয়া করে পুলিশ। সিলভিউ অটো থেকে নেমে গ্রেটার কৈলাসের একটি বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। সেখানে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে তল্লাশি করে সন্ধ্যা নাগাদ অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতেও এটিএম প্রতারণা হয়েছে. সেখানে শেষ ২৬ দিনে ২৩০ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিলভিউরা এই বছর তিনবার ভারতে প্রবেশ করেছে। প্রতিবার দেড় মাস করে থেকেছে। প্রথমবার এলাকা ঘুরে এটিএম দেখেছে। দ্বিতীয়বার স্কিমের লাগিয়েছে আর এই বার এসে টাকা তুলেছে। শেষবার সিলভিউ ভারতে এসেছিল ১৪ অক্টোবর।
ধৃত অভিযুক্ত যথেষ্ট আমোদপ্রমোদে জীবনযাপন করত। ফ্ল্যাটে দামি ও ব্র্যান্ডের জামা কাপড়, চশমা, জুতো, মোবাইল ও ল্যাপটপ পেয়েছে পুলিশ। ওই যুবকের অতীতের কীর্তি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ট্যুরিস্ট ভিসাতে ভারতে ঢোকা তার সঙ্গে যুক্ত আরও তিন জন রোমানীয়ের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।