রাজেন রায়, কলকাতা, ১২ আগস্ট: করোনায় মৃত বা আক্রান্তরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না, ৫ আগস্ট জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমন টাই জানানো হয় আবেদনকারীদের তরফে। তখনই এই নিয়ে বিস্তারিত পরিসংখ্যান হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হলফনামা দিলেও তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি হাই কোর্টের কাছে।
হাইকোর্টের নির্দেশমত বৃহস্পতিবারের শুনানিতে তথ্য তুলে ধরে রাজ্য। কতজন প্রথম সারির যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কতজনকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার, সেই তথ্য দেওয়া হলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। এ দিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, মারণ ভাইরাস কোভিডে মৃত ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রাজ্যের কাছে জমা পড়েছে ১৮০টি আবেদন। এর মধ্যে ১০১ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়েছে রাজ্য। অন্যদিকে কোভিড আক্রান্ত ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারের সংখ্যা ৩০,৮৯৩। এর মধ্যে ৯,১৯০ জনকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের দেওয়া এই তথ্যে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, ‘মাত্র ১৮০ জন সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং মাত্র ৩০ হাজার সরকারি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, এই তথ্য প্রাথমিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন ও তার স্ট্যাটাস জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।