২৪ ঘন্টা ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ কুমারগঞ্জে মৃত কিশোরীর পরিবার, এসপিকে ধমক জাতীয় এসসি আয়োগের সদস্যদের

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১২ জানুয়ারি: ২৪ঘন্টারও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ কুমারগঞ্জ কান্ডে মৃত কিশোরীর পরিবার। এসপিকে ধমক দিল্লি থেকে আগত জাতীয় এসসি আয়োগের সদস্যদের। ঘটনার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। থানায় নিখোঁজ ডাইরির পরেও পরিবারের কুলকিনারায় অপারক কুমারগঞ্জ পুলিশ।

রবিবার বিষয়টি নিয়ে জাতীয় তপশিলি জাতি আয়োগের তিন সদস্যের প্রশ্নের মুখে পড়লেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। ধমকের সুরে করা ওই প্রশ্নের জবাব দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ সুপারকেও। জাতীয় তপশিলি জাতি আয়োগের সদস্য ডঃ যোগেন্দ্র পাসোয়ান এদিন মৃত ছাত্রীর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে কড়া সুরে ধমক দেন। তিনি প্রশ্ন করে জানতে চান মৃত ছাত্রীর মা, বাবা ও ভাইয়ের মোবাইলের সুইচ বন্ধ কেন? কেন তাঁদের এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এসপি দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, শনিবার জেলা শাসকের অফিসে চেক নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁরা পূর্ণবয়স্ক তাই যেখানে খুশি যেতেই পারে। বর্তমানে তাঁদের মোবাইল সুইচ অফ আছে। অন করলেই ট্রাক করে খুঁজে বের করা হবে।

কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির সাজার দাবিতে শনিবার জেলায় আসেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী তথা হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সকালে গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রামে কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া মাত্র তিনি দেখতে পান সেখানে মৃত ছাত্রীর মা, বাবা সহ দাদা রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ। পরিবারের অনান্য সদস্যরা জানায় পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। যার পরে অবশ্য জেলা শাসক দপ্তরে সরকারি সাহায্যের চেক নিতে দেখা গিয়েছিল ওই পরিবারকে। আর তারপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে ওই পরিবার। বন্ধ রয়েছে মোবাইলের সুইচও। যার পরেই ঘটনা নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দিয়ে কুমারগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডাইরি করিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নিখোঁজ ডাইরির ২৪ ঘন্টা পরেও তাঁদের কোনও খোঁজ পায়নি কুমারগঞ্জ থানার পুলশ বলে অভিযোগ। বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোনের সুইচও।

পরিবারের এক সদস্য জানান শনিবার সকালে বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের নিয়ে যাবার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন সকলে। বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোনও।

মৃত ছাত্রীর পরিবারকে ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া যে পুলিশের দায়িত্ব সেই বিষয়ে এসপি এদিন কোনও বক্তব্যই তুলে ধরেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *