দিলীপ ঘোষ–সৌমিত্র দ্বন্দ্ব চরমে! যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত

নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা: দুই সাধারন সম্পাদকের পদ নিয়ে যুবমোর্চায় গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত। দিলীপ ঘোষের অনুগামী প্রকাশ দাসকে সাধারন সম্পাদক করা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিজেপিতে। আবার উত্তরবঙ্গ থেকে যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, সেই গোবিন্দ রায়ের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

গতকাল রবিবার যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির ঘোষণা করেছেন সৌমিত্র খাঁ, তাতে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে প্রকাশ দাস এবং গোবিন্দ রায়’কে। এই দুইজনকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জানা গেছে সৌমিত্র খাঁ চেয়েছিলেন তাঁর পছন্দের কাউকে সাধারণ সম্পাদক করতে কিন্তু দলের একাংশের আপত্তিতে তা পারেননি। কিন্তু প্রকাশ দাসকে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত যুবমোর্চার প্রাক্তন সভাপতি দেবজিৎ সরকারের কমিটিতে প্রকাশ দাস সহসভাপতি ছিলেন। রাজ্য কমিটিতে থাকলেও কলকাতার বাইরে সেভাবে কোনওদিন নেতৃত্ব দেওয়ার কাজ করেননি। উত্তর কলকাতার বাসিন্দা হওয়া সত্তেও সেখানেও সংগঠনে তাঁর তেমন গ্রহনযোগ্যতা ছিল না। শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষের কাছের হওয়ায় পদ জুটেছিল বলে দলের একাংশের দাবি। শুধু বিরোধী শিবির নয়, খোদ দিলীপ ঘোষের শিবিরের যুবমোর্চার নেতারাও এইকথা বলছেন।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে গোবিন্দ রায়কে। তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সংঘের ঘনিষ্ঠ থাকায় পদ জুটেছে বলে সূত্রের খবর। কোচবিহারের বাসিন্দা গোবিন্দ রায়ের মাঠেময়দানে নেমে রাজনীতি করার কোনও রেকর্ড নেই। গতকমিটির যুবমোর্চার নেতারা মনে করতে পারছেন না গোবিন্দ রায় কোনওদিন জেলার যুবমোর্চার কমিটিতে ছিলেন কি না!
যুবমোর্চার শীর্ষপদে প্রকাশ দাস ও গোবিন্দ রায়কে বসানো নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। যদিও সৌমিত্র খাঁ নিজে চাননি প্রকাশ দাসকে সাধারণ সম্পাদক করতে। তৃণমূল থেকে আসা একছাত্র নেতাকে যুবমোর্চার সাধারন সম্পাদকের পদে বসাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে হাল ছাড়েননি সৌমিত্র খাঁ। প্রাক্তন ওই তৃণমূল নেতাকে দায়িত্ব দিতে সংগঠনে আরও একটি সাধারন সম্পাদকের পদ তৈরি করা যায় কিনা তা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *