আমাদের ভারত, ৭ জুলাই: “২০২৬-এ তৃণমূলের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। এই দুর্নীতির, দখলদারি, রাজনৈতিক লুম্পেনিজমের শেষ দেখতে হবে আদালতে, রাজপথে এবং ব্যালট বাক্সে,” সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বললেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একাধিক সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপব্যাখ্যা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, চিহ্নিত অযোগ্যদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে বাধা নেই।
দেবজিৎ বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট টেন্টেড অর্থাৎ অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করতেই বলেছে। যদি এদের আবার সুযোগ দেওয়া হতো, তবে আবার টাকা তুলে, দুর্নীতির চাকরি বিক্রির খেলা চলত।”
রাজন্যা হালদার কসবা ল’ কলেজের অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মনোজ মিশ্রদের প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে দেবজিৎ বলেন, “রাজন্যা হালদার যে অভিযোগ করেছেন, সেটি যদি সত্যি হয়, তবে তা বাংলার রাজনীতির জন্য লজ্জার।”
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দেবজিৎ বলেন, তৃণমূলের অন্দরমহল এখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার সর্বত্র টাকার ভাগাভাগি চলছে। ২০২৬-এর আগে যত পারা যায় লুট করে নিতে চাইছে। সাধারণ বাঙালি এই অপশাসনে হাঁপিয়ে উঠেছে। এখন ভোটাররা বুঝে গেছেন— হয় তৃণমূলকে রেখে এসব মেনে নিতে হবে, নয়তো বিজেপি-কে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।”