অনুব্রত জমানার অবসান! নানুরে দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হলো তার ছবি ও নাম

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২৯ সেপ্টেম্বর: অনুব্রত মণ্ডলের জমানার কি অবসান হতে চলেছে? দলীয় কার্যালয় থেকে তার ছবি, নাম মুছে ফেলার ঘটনা সেই বার্তাই দিচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের। এনিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনুব্রত অনুগামীরা। কিন্তু কারা দলীয় কার্যালয় থেকে ছবি নাম মুছে ফেলল সেটা অধরা।

অনুব্রত মণ্ডলের জেল যাত্রার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের উপরই আস্থা রেখেছেন। তাই এখনও অনুব্রত মণ্ডলকেই জেলা সভাপতি পদে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই ঘোর অনুব্রত বিরোধী নানুরের ফয়েজুল হক ওরফে কাজল শেখের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। জেলায় কাজলের মতো নেতা পছন্দ মুখ্যমন্ত্রীরও। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে বসিয়ে সেই বার্তা দিয়েছে দল। ক্ষমতা পেয়েই জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কাজল শেখ। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি থেকে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের আগেই কোণঠাসা করেছে। নানুর থেকেই অনুব্রত মন্ডলের নামনিশান মুছে ফেলতে শুরু করল দলের একাংশ। শুক্রবার সকালে দেখা যায় নানুর ব্লকের ন-নগর কড্ডা অঞ্চলের হোসেনপুর গ্রামের তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি ও নাম। জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধক্ষ নানুরের কারিম খানের নামও মুছে ফেলা হয়েছে। এই খবর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। তৃণমূলের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “কারা এসব করেছে বলতে পারব না। খোঁজ নিয়ে দেখছি”।

কেরিম খান বলেন, “এসব নোংরামি। যারাই করে থাকুক ঠিক করেনি। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে”।

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেন, “এটাই হওয়ার ছিল। ঘোর অনুব্রত বিরোধী এখন জেলা সভাধিপতি। তিনিই এখন ওই দলের রাশ হাতে নিয়েছেন। এক সময় অনুব্রতর দাপিয়ে নানুরের বাইরে যেতে পারতেন না। সেই বদলা তো নেবেই। মুখ্যমন্ত্রীও অনুব্রত মণ্ডলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। না হলে কাজলকে সভাধিপতি পদে বসাতেন না। হোসেনপুর বুঝিয়ে দিয়েছে অনুব্রত জমানা শেষ”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *