স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া,৯ জুন: তিনি পেশাদার কোনও প্রতিমাশিল্পী নন। ছোটবেলা থেকেই শখ করে মূর্তি বানানো তাঁর নেশা। পড়াশোনা করে চাকরি মেলেনি তাই শিক্ষকতা করেন তারই ফাঁকে নিজের শখের মূর্তি গড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এবার বরাত পেয়েছেন দুর্গাপ্রতিমা বানানোর।
শান্তিপুর শহরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জগন্নাথ প্রামানিক পেশায় গৃহশিক্ষক। তার বাইরে যেটুকু সময় মেলে তা ব্যয় করেন স্থাপত্য এবং মূর্তি বানানোর জন্য। বাবা রাম প্রামানিক তাঁত শ্রমিক ছিলেন, এখন বয়সের ভারে শাড়ির ছোট ব্যবসা করেন। মা মালতি দেবী সুতো পাকিয়ে সংসারে কিছুটা সহযোগিতা করেন। একমাত্র সন্তান জগন্নাথ, ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পাস করেও চাকরি পাননি।
তবে তা নিয়ে আক্ষেপ নেই তাঁর। ছোট থেকে মৃৎ শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি তা বাস্তবায়িত হলে তিনি বেশি খুশি হতেন বলে জানিয়েছেন। মালতি দেবী জানান, ছোটোবেলায় জগন্নাথ আটা, কাদা দিয়ে মূর্তি বানানোর খেলা করতো, ওর প্রতিভা বোঝা সত্বেও কিন্তু অভাবের সংসারে কোনওদিন আলাদা ভাবে শেখানোর কোনও ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি তিনি। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁর ছেলে যেভাবে পরিচিতি লাভ করেছে তার আশা ছেলে আগামী দিনে অনেক বড় শিল্পী হবে।
জগন্নাথ বলেন, এ বছরে ছয় মাস আগে, ব্যাঙ্গালোরে এক প্রবাসী বাঙালির সাথে পরিচয় হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমেই। তিনি দুর্গা প্রতিমা বানানোর জন্য কিছু এডভান্সও করেন। এক ভাবে কাজ করলে হয়তো কুড়ি দিন লাগতো তবে টিউশন এবং অন্যান্য শিল্প কর্মের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার জন্য কাজটি শেষ করতে তার একটু দেরী হয়ে গেল। আকাশ পথে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে, ব্যাঙ্গালোর পৌছতে চলেছে তার হাতে গড়া এই প্রতিমা।