পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ নভেম্বর: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের রি-ভেরিফিকেশন শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। তেরোশোটি সরকারি আধিকারিকদের টিম এই কাজ শুরু করেছে ২৭ নভেম্বর থেকে। সেই কাজে অতর্কিত অভিযানে নামতে দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খোরশেদ আলী কাদেরীকে। শনিবার বিকেলে সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎ করে হাজির হয়েছিলেন আবাস এলাকায়। তালিকায় থাকা প্রাপকদের নাম ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিও৷
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ২০২১-২২ বর্ষে আবেদন করা আবাস যোজনার বাড়ি প্রাপকদের তালিকার রি-ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। ওই সময় কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ উদ্যোগে এই তালিকা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের নিয়মের অনেক জটিলতার কারণে বহু ব্যক্তির নাম কেটে দিতে হয়েছিল তালিকা থেকে। বর্তমানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই বাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার নাম আবাস যোজনা কেটে বাংলার বাড়ি করা হয়েছে। তাই ইতিপূর্বে যে ভেরিফিকেশন হয়েছিল ওই তালিকা অনুসারে রাজ্য সরকারের নির্দেশে রি- ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। প্রাপকরা ন্যূনতম উপযুক্ত হলেই তাদের বাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই রি- ভেরিফিকেশন করা হবে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৪৬৪ জনের নাম। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কোনো জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এখানে থাকবেন না। সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি ১৩০০টি টিম এই সার্ভের কাজ করছেন। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে উপযুক্ত মনে হলেই তাকে এই তালিকার বাড়ি দেওয়া হবে। এই ভেরিফিকেশন করতে অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে মহকুমা শাসক, বিডিও সকলেই নেমেছিলেন। এবার সেই কাজে নামলেন খোদ জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী।
মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা আবাস এলাকাতে শনিবার বিকেলে হটাৎ হাজির হয়ে গিয়েছিলেন জেলা শাসক৷ স্থানীয় সার্ভেয়ারদের সঙ্গে নিয়ে বেশ কিছু বাড়ির প্রাপকদের সঙ্গে কথা বলেছেন জেলাশাসক। তাদের তালিকা মিলিয়ে প্রাপকের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও বাড়ির পরিস্থিতি কী সবটা খতিয়ে দেখেছেন তিনি। জেলার অন্যান্য স্থানেও এই অভিযান হবে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক। অর্থাৎ জেলার যে কোনো প্রান্তে, যে কোনো সময় ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি নিজে এই চেকিংয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।