উত্তেজনা প্রশমনে হুগলীর ১১টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের

আমাদের ভারত, হুগলী, ১৩ মে: সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়াচ্ছে তেলিনি পাড়া সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও। গুজব রুখতে ও উত্তেজনা প্রশমিত করতে শেষ পর্যন্ত হুগলীর ১১টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। ১৭মে পর্যন্ত চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমার ১১টি থানা এলাকায় বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট। কেবল টিভির সংযোগ ও ডিস টিভি পরিষেবা। সেই থানাগুলি হল- উত্তরপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর, চণ্ডীতলা জাঙ্গিপাড়া, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর, সিঙ্গুর, হরিপাল এবং তারকেশ্বর।

মঙ্গলবার রাতে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার এবং হুগলীর পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) যৌথ নির্দেশিকা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ভোডাফোন, জিও, বিএসএনএল, আইডিয়া, এয়ারটেল, টাটা টেলি সার্ভিস-সহ সমস্ত কেবল টিভির ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলিকে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কিছু সমাজবিরোধী ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। তা রুখতেই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে গত তিনদিনের মত বুধবার সকালেও সংঘর্ষ নতুন করে শুরু হয় ওই এলাকায়। আবারও বেশ কয়েকটি দোকান বাড়ি ভাঙ্গচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ভদ্রেশ্বরের এই উত্তেজনা প্রবণ এলাকায়। পুরো এলাকা পুলিশের দখলে থাকলেও পুলিশের সামনেই চলে সংঘর্ষের ঘটনা। যা রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় পুলিশ প্রশাসন।

এদিন বেলার দিকে হুগলীর জেলা শাসকের দপ্তরে
বিষয়টি নিয়ে দেখা করতে যান হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সাথে ছিলেন আর এক সাংসদ অর্জুন সিং। দীর্ঘক্ষণ তার অপেক্ষা করেও দেখা করতে অস্বীকার করেন জেলাশাসক থেকে পুলিশ কমিশনার। তাদের দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেন সাংসদ সহ বিজেপি নেতৃত্ব। পরে সেখান থেকে উঠে আবারও ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু পথে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। লকেটের অভিযোগ, তাদের আটকে রেখে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছে রাজ্য সরকার। যদিও পুরো ঘটনায় হুগলীর সাংসদকেই দায়ী করেছেন হুগলীর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, সোশ্যাল সাইটে একের পর এক হিংসার ছবি পোস্ট করে সাংসদ হিংসায় মদত দিচ্ছেন। তাই তাকে গ্রেফতার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *