আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৪ নভেম্বর: ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধ দিবস উদযাপন করা হয়েছিল রামপুরহাটে। এই উপলক্ষ্যে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কিষাণ মান্ডিতে কৃষকদের নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা এ কে এম মিনাজুর আহাসান, রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভাশিস কর্মকার, সহ সভাপতি পান্থ দাস।
আশিসবাবু বলেন, “এখন মেশিন দিয়ে ফসল কাটার পর জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা অবশিষ্ট অংশ কৃষকরা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছেন। যাকে ধানের নাড়া ও খড় পোড়ানো বলে। কিন্তু এর ফলে জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রথমত তাপ ও ধোঁয়ায় পরিবেশে দূষণ বিশ্ব – উষ্ণায়ণ ঘটছে। মাটির মধ্যে জীবাণু, কেঁচো, পোকা মরে যাচ্ছে। উদ্ভিদের খাদ্যও পুড়ে নষ্ট হচ্ছে। মাটি পুড়ে শক্ত হচ্ছে। জীবাণু মারা যাওয়ায় সার প্রয়োগ করলেও তা ফসলের খাওয়ার উপযোগী হচ্ছে না। ফলে সারের অপচয় হচ্ছে। ফসলের ফলন কমছে”।
কৃষি দফতরের পরামর্শ, খড় কুছিয়ে কিংবা পচিয়ে জমির মাটির সঙ্গে মেশান। ভার্মিকম্পোস্ট, মাশরুম, গবাদি পশুর খাদ্য, গৃহস্থলীর জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করুন। এদিন কয়েকজন কৃষকের হাতে কিছু ক্যাপস্যুল তুলে দেওয়া হয়। ওই ক্যাপস্যুল জলে গুলে জমিতে স্প্রে করলে জমির উর্বরতা বাড়বে। ওই ক্যাপস্যুল একশো একর জমিতে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এই প্রয়োগ দেখা হবে। সাফল্য পেলে সারা রাজ্যেই ওই ক্যাপস্যুল প্রয়োগ করা হবে। তার পাশাপাশি আমরা কৃষকদের হাতে একটা মেশিন তুলে দেব। যে মেশিন দিয়ে জমিতে অবশিষ্ট খড় উঠে যাবে”।