আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ২৫ আগস্ট: পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা সঠিক ভাবে বলা হচ্ছে না। সরকারি দলের কেও কেও বলছে আমি তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রকাশ করছি। করোনা কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়। করোনা সংক্রমণ আমাদের সকলের জীবনের সমস্যা। যে সমস্যা আমাদের সকলকে বিপদে ফেলতে পারে। মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লিতে নিজস্ব বাসভবনে বসে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় মৃত্যুর ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু হয়েছে জানলে আর কেও চিকিৎসা করাতে যাবে না ভয় পাবে। আজ বহু পরিবার আছে তাদের পরিবারের করোনা সংক্রমণ হলে বাইরের কাউকে বলতে চাইছে না সমাজ থেকে দূরে সরে যাবে বলে। আজ করোনায় মৃত্যুর কথা যে লুকানো হচ্ছে এগুলো তার বড় কারণ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে একহাত নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে হাতুরে ডাক্তার, কবিরাজী ডাক্তারের সংখ্যা কত? পশ্চিমবঙ্গে কত মানুষকে সরকারি ভাবে চিকিৎসা জন্য নিয়ে আসা হয়েছে? আজ গ্রামে গ্রামে তেমন হাসপাতাল নেই কেও মারা গেলে কি করে মারা গেল তার কারণ উল্লেখ করা হয় না। মৃত্যু কি কারণে হল তা বর্ননা সব জায়গায় দেওয়া হয় না, গ্রামের মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেন পঞ্চায়েত প্রধানরা। আজ গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবার কোনও পরিকাঠামো নেই যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর তালিকা যা দেখানো হচ্ছে বর্তমানে তার থেকে অনেকটাই বেশি বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন করে সাপ্তাহিক লকডাউনের পর কোথায় কত জন মানুষের মৃত্যু হল, ধাপার মাঠে
কতজনকে শেষকৃর্ত্য সম্পন্ন করা হল, প্রত্যক জেলাজুড়ে তার তালিকা তৈরি করা হলে মৃতের সংখ্যা যে বেড়েছে তা দেখা যাবে। প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।

