সুশান্ত ঘোষ, হাবড়া, ২৪ মে: অসহায় পরিবার, ছেলে মেয়ে আত্মীয়স্বজন বলতে প্রতিবেশীরা। দুই জনেই কর্মহীন৷ প্রতিবেশীরা দিলেই খাওয়া জোটে। সম্প্রতি বৃদ্ধা জ্বর কাশী নিয়ে ভুগছিলেন। সোমবার সকাল পাঁচটা নাগাদ বৃদ্ধার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। ঘটনার কথা জানাজানি হলেও করোনা আবহে এগিয়ে এলো না কেউ। শেষমেষ স্থানীয় যুবকদের তৎপরতায় হল শেষকৃত্যের কাজ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এলাকায়।
জানাগেছে, অসহায় এক বৃদ্ধ দম্পতি ১ বছর আগে আশ্রয় নিয়েছিল একটি সরকারি স্কুলে। সেখানেই তাদের দিনরাত কাটতো কেউ খেতে দিলে দুমুঠো পেট ভরে খেতে পেতেন। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে মাঝে মাঝেই খাবার দিয়ে যেত এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ কেউ খাবার দিত।
সোমবার সকালে বৃদ্ধ এলাকার এক যুবককে বলেন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে এক যুবক তাদের খাবার দিতে গিয়ে দেখে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু করোনার ভয়ে তাদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পাচ্ছিল না কেউ। খবর পেয়ে এলাকার যুবক কুমার দত্তের নেতৃত্বে বৃদ্ধার শেষকৃত্য করার কাজ শুরু হয়। নিজেরাই দেহ উদ্ধার করে পুলিশকে জানিয়েবৃদ্ধার সৎকার করা হয় অশোকনগর শ্মশানে।