আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৬ নভেম্বর: ছেলে ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল পরিবার। তাই পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই হতাশা গ্রাস করেছিল দিনমজুর পরিবারকে। খবর পেয়ে অবশ্য ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাব।
রাহিবুল শেখ। বাড়ি বীরভূমের মুরারই থানার রাজগ্রাম হাসপাতালপাড়া। বাবা দিনমজুর। মা হিরা বিবি পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক রাহিবুলের। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় রাজগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর হাওড়া আলামিন মিশনে ভর্তি হন। এবার সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষায় সে ৩০ হাজার র্যাঙ্ক করেছে।
ফলাফল বের হওয়ার পরেই পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। দিনমজুর পরিবারে ছেলেকে কিভাবে ডাক্তারি পড়াবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল পরিবার। খবর পেয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ায় রাজগ্রাম জনসংঘ ক্লাব। তারাই প্রাথমিক ভাবে রাহিবুলের ভর্তির টাকা দিয়েছে। হিরা বিবি বলেন, “স্বামী দিনমজুরি করে। আমি পরের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই। ছেলেকে ডাক্তারি পোড়ানো আমাদের কাছে আকাশ কুসুম চিন্তা। জনসংঘ ক্লাব ছিল বলে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি”।
রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের বনরামপুর গ্রামের মনিরুল শেখ নামে আরও এক মেধাবী ছাত্র ডাক্তারিতে সুযোগ পেয়েছে। তারা চার ভাই এবং বাবা স্থানীয় পাথর খাদানে শ্রমিকের কাজ করে। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ভাইয়ে ডাক্তারি পড়ার জন্য তারা সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি। প্রয়োজনে বেশি সময় ধরে পরিশ্রম করে ভাইকে পড়াব”।