আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১২ জুন : পূর্বাভাস ছিল। মনোনয়ন জমা দিয়ে সেই পূর্বাভাসের বাস্তবে রূপ দিলেন বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে স্বজনহারা পরিবারগুলি। সোমবার পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নয় তারা রয়েছেন বিজেপির সঙ্গেই।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ মার্চ বোমা মেরে খুন করা হয় বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখকে। ওই রাতেই ভাদু খুনের বদলা নিতে বগটুই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একটি বাড়িতেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় আট জনের। সেই তালিকায় নাম ছিল ডলি বিবির। তারই পুত্রবধূ সীমা খাতুন এবার বগটুই গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনেও প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনহারা মিহিলাল শেখ। তিনি বলেন, “ওই রাতের ভয়াবহ ঘটনা আজও আমাদের মনকে যন্ত্রণা দেয়। আমার মা, স্ত্রী ও মেয়েকে ওরা জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। আমি পালিয়ে না গেলে আমাকেও মেরে ফেলত। সেই জল্লাদদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষ আমাদের পাশে আছে। বিজেপি নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে আছে। গ্রাম থেকে পঞ্চায়েতের আসনেও আমরা প্রার্থী দেব”।

বগটুইয়ের স্বজনহারা পরিবারগুলি যে বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা অনুমান করা গিয়েছিল বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে। ওই দিন তৃণমূলের স্মরণ সভায় যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন তারা। এমনকি রামপুরহাটের বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতেই ঢুকতেই দেয়নি তারা। তবে বিজেপির স্মরণ সভায় চাঁদেরহাট করে বসেছিলেন সকলে।
এনিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “রাজ্য সরকার স্বজনহারা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত রকম সাহায্য করেছিল। প্রতিটি পরিবারকে চাকরি দিয়েছে। তারপরও যদি কেউ বিজেপিতে যায় তাহলে কিছু বলার নেই। শীঘ্রই ওদের বিজেপি মোহ ভঙ্গ হবে”।

