লকডাউন শিকেয়, জনধন যোজনার টাকা তুলতে উপচে পড়া ভিড় পতিরামে

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৮ এপ্রিল: লকডাউনকে তোয়াক্কা না করে জনধন যোজনার অ্যাকাউন্টের টাকা তুলতে পতিরামে উপচে পড়া ভিড় ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিসেবা কেন্দ্রগুলিতে। চড়া রোদে দাঁড়িয়ে নিভিশ্বাস গ্রাহকদের। লিঙ্ক বিভ্রাটে জেরবার দক্ষিন দিনাজপুর। বালুরঘাটের পতিরামে গ্রাহক প্রতিনিধি সেবাকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রাহকদের এমন উপচে পড়া ভিড়ে কার্যত শিকেয় ওঠে লকডাউন। একই চিত্র বালুরঘাট শহর লাগোয়া চক্‌ভৃগুর তিনটি ব্যাঙ্কের গ্রাহক প্রতিনিধি সেবাকেন্দ্রের সামনেও। শয়ে শয়ে পুরুষ – মহিলাদের এমন ভিড়ে লকডাউনের কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ।

করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পরেই গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মহিলাদের জনধন অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা হিসাবে তিন মাসে ১৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন দেশের অর্থ মন্ত্রী। তিনটি কিস্তিতে ওই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা রয়েছে। যার প্রথম পর্যায়ের ৫০০ টাকা ইতিমধ্যে জমা পড়েছে অ্যাকাউন্টগুলিতে। তারপরেই প্রতিদিন নিয়ম করে অসংখ্য গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সি.এস.পি. শাখায় ভিড় জমাচ্ছেন। অভিযোগ যার জেরেই জেলাজুড়ে লকডাউনের নিয়ম একপ্রকার শিকেয় উঠেছে। ভিড়ে ঠাসা অবস্থায় দাঁড়িয়ে টাকা তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা। এরই মাঝে সি.এস.পি গুলিতে ব্যাপক লিঙ্ক বিভ্রাটের জেরে সেই সমস্যা আরো বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃদ্ধ ভাতার টাকা নিতে এসে প্রখর রোদ ও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বয়স্করা।

পতিরাম সি.এস.পি শাখায় টাকা তুলতে আসা রুপালী হেমব্রম, সোম সরেন ও সুমতি বালা রায়’রা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে তাঁদের কাজ কর্ম সব কিছুই বন্ধ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা হাতে পেলে তাঁদের অনেকটাই উপকার হবে। যে কারনেই বাধ্য হয়ে তাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছেন। লিঙ্ক বিভ্রাটের জেরে রোদের মধ্যেই লাইন দিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে তাদের।

পতিরামের বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের গ্রাহক প্রতিনিধি সেবাকেন্দ্রের তরফে জয়ন্ত পাল জানিয়েছেন, জনধন অ্যাকাউন্টের টাকা সহ পেনশন ও বৃদ্ধ ভাতা তুলতেও বহু মানুষ আসছেন। যে কারনেই ভিড় জমছে। তার উপর লিঙ্ক বিভ্রাটের ঘটনা লেগে থাকায় সমস্যা আরো বেশী হয়েছে। করোনার জন্য সকলকে নিয়ম মেনে লাইনে দাঁড়াতে বলা হলেও তারা মানছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *