আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২৯ জুলাই:
হাসপাতালের দেওয়া মৃত্যুর সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর। কিন্তু তবুও দেহ সৎকার করতে রাজি হয়নি শ্মশান কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা দেহ পড়ে থাকে শ্মশানের বাইরেই। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর থানার অন্তর্গত কীর্তনখোলা শ্মশানে। পরে অবশ্য বারুইপুর পুরসভার প্রশাসক শক্তি রায়চৌধুরীর হস্তক্ষেপে দেহ সৎকার হয়। তবে শ্মশানের কোনও কর্মীই সেই দেহে হাত লাগাননি বলে অভিযোগ।
বেশ কিছুদিন ধরেই জয়নগর থানার অন্তর্গত হোগলডহরি গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৭ এর উত্তম নস্কর জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার তিনি বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসার জন্য। তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠান চিকিৎসকরা। এরমধ্যে মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানান নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে বুধবার পর্যন্ত তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি। আর করোনার রিপোর্ট না আসার কারণেই এদিন সকালে তাঁর দেহ কীর্তনখোলা শ্মশানে নিয়ে গেলেও দেহ সৎকার করতে রাজি হননি শ্মশান কর্তৃপক্ষ। দেহ সৎকারের জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে মৃতের পরিবারের সাথে শ্মশান কর্মীদের টানাপোড়েন চলতে থাকে। শেষে বারুইপুর পুরসভার প্রশাসক শক্তি রায়চৌধুরীর নির্দেশে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পড়ে থাকার পর দুপুরে পরিবারের লোকজন নিজেরাই দেহ চুল্লিতে তুলে সৎকারের কাজ করেন। শ্মশানের কর্মীরা তাতে হাতই লাগায়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্মশান চত্বরে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

