আমাদের ভারত, ২৭ অক্টোবর: ১০০ দিনের কাজের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই দাবি করে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর পাল্টা জবাব দিয়ে রায় ভালো করে পরার পরামর্শ দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, রায়ে এমন কয়েকটি বিষয় আছে যে সেগুলো কেন্দ্রীয় সরকার লাগু করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যাঁ ফুঁ করার সুযোগ থাকবে না।
শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে। তিন বছর পর ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে পারবে রাজ্য। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপিকে খোঁচা দিচ্ছে শাসক দল। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জমিদারদের পরাজয় বলে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আদালত যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, আদালতের রায়ে স্পষ্ট, আগের বকেয়া টাকা কেন্দ্রকে দিতে হবে না, কারণ সেই টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছায়নি।
সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার বলেন যে, হাইকোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লাফাচ্ছে। পরিষ্কার সেখানে আদালত উল্লেখ করেছে, কেন্দ্রীয় টিম নির্দিষ্ট কিছু অনিয়মের কথা রিপোর্টে তুলে ধরেছে। কিছু অর্থ পুনরুদ্ধারও করা হয়ে। সে অর্থ রাজ্যে মনরেগা নোডাল অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে। এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ।
সুকান্ত মজুমদারের কথায়, অর্থাৎ আদালত মেনে নিয়েছে দুর্নীতি হয়েছে। আদালতের তরফ থেকে আরো অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন নোডাল অফিসার বসানো, কেন্দ্র চাইলে যে কোনো জায়গায় তদন্ত করতে পারে। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবিকে কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিক্ষেত্রে সমর্থন করেছে। আর সেই রায়ই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের রায়কে নিজেদের জয় হিসেবে তুলে ধরে অভিষেক বলেছেন, বহিরাগত বাংলা বিরোধী জমিদারদের জন্য বড় পরাজয় এই রায়। বাংলাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টাকারীদের গালে গণতান্ত্রিক চপেটাঘাত। বিজেপির অহংকারের সীমা ছাড়িয়েছে। জনগণের ভোট ও আদালতে হার হয়েছে চক্রান্তকারীদের।
এর পাল্টা খোঁচা দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, হয়তো আদালতের রায় পড়েও দেখেননি অভিষেক। এই রায়ের মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, কেন্দ্র সরকার চাইলেই সেটা করতে পারে। তাতে আর শাসক নেতৃত্বের ট্যাঁ ফুঁ করার জায়গা থাকবে না। আর বহিরাগত তো সবাই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কনৌজের ব্রাহ্মণ। বহিরাগত ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তো অ্যালন অক্টোভিওম হিউমের উত্তরাধিকার বহন করছে, সেখানে বিজেপি বাংলার সন্তান ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির উত্তরাধিকার বহন করছে।

