আমাদের ভারত, ১১ নভেম্বর: “যখন দেশ উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে।” মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, রাজ্যের ৯ লক্ষ স্নাতক আসনের মধ্যে মাত্র ৪ লক্ষ আসন পূরণ হচ্ছে— যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে ২০১৯-২৪ সালের মধ্যে প্রায় ৯ লক্ষ পড়ুয়া সরকারি স্কুল থেকে বেসরকারি স্কুলে চলে গেছে। তৃণমূল সরকারের কারণে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অথচ মুখ্যমন্ত্রী এখনো জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ প্রয়োগ করছেন না।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ১৮,০০০ শিক্ষক ৩,৮০০টি স্কুলে পড়াচ্ছেন যেখানে ছাত্রসংখ্যা শূন্য। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে ২০,৮১৭ জন শিক্ষক, ছাত্র শূন্য ভর্তি স্কুলে কর্মরত, যার মধ্যে ১৭,৯৬৫ জনই পশ্চিমবঙ্গের— এটাই ‘এগিয়ে বাংলা’-র মডেল।
তিনি বলেন, NIRF র্যাঙ্কিং-এ দেখা গেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২৬তম স্থান থেকে নেমে ৪৭তম স্থানে পৌঁছেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও ১২ থেকে ১৮ নম্বরে নেমে গেছে। বর্তমানে দেশের ৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান QS Rankings-এ স্থান পেয়েছে। আমি সম্প্রতি কটকের শ্রীশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। তারাও QS Rankings-এ স্থান পেয়েছে।”
সুকান্তবাবু বলেন, বিশ্ব উদ্ভাবনী সূচকে ভারত ২০১৫ সালে ৭৯তম স্থান থেকে ২০২৫ সালে ৩৯তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা প্রায় ৯২,০০০টি পেটেন্ট দাখিল করেছেন; এভাবেই দেশ এগিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে। স্ট্যানফোর্ডের তালিকা অনুযায়ী ৬২৩৯ জন ভারতীয় বিজ্ঞানী বিশ্বসেরা হিসেবে স্বীকৃত।

