আমাদের ভারত, ৩১ মার্চ:দেশে জ্বালানি তেল মজুত নিয়ে যে তথ্য দিল কেন্দ্র সরকার তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ার মতো। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে আগামী ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে দেশে।
তৃণমূলের সংসদ জানতে চেয়ে ছিলেন এই মুহূর্তে দেশের মজুত জ্বালানির পরিমাণ কত? যদি কোনো জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হয় তাই সেই পরিমাণ তেল দিয়ে কতদিন কাজ চালানো সম্ভব? উত্তরে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ৫০.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল মজুত রয়েছে, যা দিয়ে দেশে ৯.৫ দিনের চাহিদা মেটানো যেতে পারে। অন্যদিকে বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলির কাছে যে পরিমাণ তেল মজুত আছে তাতে ৬৪.৫ দিন চলবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দেশে মোট ৭৪ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে।
এই পেট্রোল-ডিজেলের মজুতের পরিমাণ কমে যাওয়াকে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক স্তরে সাধারণভাবে যেকোনো দেশেরই অন্তত ৯০ দিনের জ্বালানি থাকার কথা। সে জায়গায় ১৬ দিনের মজুত কম রয়েছে। কেনো এই পরিস্থিতি তৈরি হলো সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সাধারণ পরিস্থিতিতে বিশ্বের যেকোনো দেশে ১০০ দিনের তেল মজুদ থাকে। সে তুলনায় অনেকটাই কমেছে মজুতের পরিমাণ।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে এটা হতে পারে। তবে রাশিয়ার কাছে তেল নেওয়ার ব্যাপারে সদর্থক ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। কিন্তু রাশিয়া থেকে তেল আমদানি হলেও এই ঘাটতি মিটবে কিনা সেই প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ তৃণমূলের আর এক সাংসদের একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা মোট আমদানীর এক শতাংশেরও কম। এদিকে পাঁচ রাজ্যের ভোট শেষ হতে হতেই প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বৃহস্পতিবারেও লিটার প্রতি ৮৩ পয়সা বেড়েছে পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮০ পয়সা।