পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ ডিসেম্বর: মেদিনীপুর পৌরসভায় তৃণমূলের গঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা পৌরপ্রধান সৌমেন খানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের। তার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন বিক্ষোভকারী কাউন্সিলররা।
বিগত পৌরসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর পুরসভায় বিপুল জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৫টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয় পেয়েছিল শাসক দল। স্বভাবতই পৌরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল, এবং চেয়ারম্যান হন সৌমেন খান। কিন্তু হঠাৎ শুরু হয় দলীয় মতানৈক্য। মৌসুমী হাজরা, বিশ্বনাথ পাণ্ডব, মৌ রায়, ডাঃ গোলক বিহারী মাঝি, ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহি সহ শহরের বেশ কিছু তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান পদ থেকে সৌমেন খানের পদত্যাগ দাবি করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

বিক্ষোভকারী কাউন্সিলরদের বক্তব্য, তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। মেদিনীপুরের অনেক ব্যবসায়ী পৌরসভায় ডাক পেলে আতঙ্কে ভুগছেন। মেদিনীপুর পুরসভা আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছ, কারণ অপদার্থ চেয়ারম্যান অপরিকল্পিত ও একনায়কতান্ত্রিক ভাবে পৌরবোর্ড পরিচালনা করছেন। কাউন্সিলরদের উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচের সঠিক হিসাব দেওয়া হচ্ছে না। ওয়ার্ডের কাজের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক না দিয়ে সেই টাকায় মোচ্ছব করা হচ্ছে। উন্নয়নের টাকা অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে। কাউন্সিলরদের একাংশ বঞ্চিত ও অপমানিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
তাদের আরও অভিযোগ, পৌরপ্রধান সৌমেন খানের নেতৃত্বে পুরসভায় দালাল চক্র সক্রিয়। অবিলম্বে পৌরপ্রধান সৌমেন খানের পদত্যাগের দাবি জানিছেন বিক্ষোভরত তৃণমূল কাউন্সিলররা।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দলের জেলা সভাপতিকে আমি ব্যাপারটা জানিয়েছি। ওনাকে বাড়িতে গিয়ে বলে এলাম, সমস্যা যদি হয়ে থাকে সবাইকে ডাকুন। আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেবো। তিনি আরও বলেন, আমি সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়েই কাজ করি। টাকা যেটা এসেছে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের কাজের ক্ষেত্রে যারা যারা রিকুইজিশন দিয়েছেন সেগুলি সবই হয়েছে। কোনও ভাবেই কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি।
তাঁর পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেন, দল আমাকে পদে বসিয়েছে। দল যদি আমাকে বলে দেয় পদ ছেড়ে দিতে, আমি আজই তা ছেড়ে দেবো।

