আমাদের ভারত, ২৪ মে: বিশ্বজুড়ে ফের দাপট দেখা দিয়েছে করোনার। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের পর ভারতেও মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। দেশে করনায় আক্রান্ত এই মুহূর্তে ৩১২ জন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে গত শুক্রবার গুজরাটে কুড়ি মাসের এক শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাতেও তিন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
পশ্চিমবঙ্গের মগরাহাটের দুই করোন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যাদের একজনের বছর কুড়ির মহিলা ও এক কিশোর। জানাগেছে, হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে আসেন দু’জন। আরটিপিসিআর করে জানা যায় দু’জনে কোভিড আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, চলতি মাসের গোড়ায় আলিপুরের উডল্যান্ড হাসপাতালে এক মহিলা শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। পরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। এক সপ্তাহ তাকে ভর্তি রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।চিকিৎসকরা মনে করছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট করোনার গাইডলাইনও বেঁধে দেওয়া দরকার। পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক না হলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কেরল, পাঞ্জাব ও ব্যাঙ্গালুরুতেও। রাজধানী দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। সব হাসপাতালগুলিকে পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছে দিল্লি সরকার। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে অক্সিজেন, ওষুধ ও ভ্যাকসিন। সব হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে যেন জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয়। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট পোর্টালে তথ্য প্রকাশের কথাও বলা হয়েছে।
হরিয়ানাতে করোনা বাড়ছে দেখে সতর্ক-পঞ্জাব। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, করোনার উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করাতে হবে। ধরা পড়লেই রোগীর পরিবারকে বাড়িতে কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে পঞ্জাবে আসা মানুষদের আলাদা করে অ্যাডভাইসারি জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গুজরাটেও ইতিমধ্যে আক্রান্ত ৪০ জন। অন্যান্য রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্ত। তাই অতীত অভিজ্ঞতা থেকে সতর্ক হতে চাইছে সব রাজ্যই।