বেদম মার খেয়ে পরি কি মরি করে কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালাল চিনা ফৌজ, তাড়া করেছিল ভারতীয় জওয়ানরা

আমাদের ভারত, ১৩ ডিসেম্বর:
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং এ আগ্রাসি চিনকে একেবারে উচিত শিক্ষা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, প্রথমে ঘিরে ধরে তারপর কাঁটা লাগানো লাঠি দিয়ে বেদম মার দেওয়া হয়েছে। এরপর পালাতে গেলে তাড়া করা হয়েছে। পরি কি মরি করে কোনওমতে বাংকারে ঢুকে প্রাণ বাঁচিয়েছে চিনের লাল ফৌজ।

ওই এলাকায় মোতায়েন সেনা কর্তারা জানিয়েছেন, ২০ থেকে ২৫ মিনিট ধরে হাতাহাতি চলে। ২০২০ তে লাদাখের গালওয়ানের সংঘর্ষ থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনা। তাই লাল ফৌজ কিছুই করতে পারেনি। বরং উল্টে পি এল এর কমপক্ষে ২৩ জন জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে ভারতে ছয় জন জওয়ান জখম হয়েছেন।

সূত্রের খবর, দুদিন আগে ওই এলাকায় টহলদারি চালিয়েছিল বায়ুসেনার দুটি সুখোই যুদ্ধবিমান। লাল ফৌজ খুব তাড়াতাড়ি বড় রকম হামলার ছক করছে বলে বায়ু সোনার তরফে আগাম সর্তকতা দেওয়া হয়েছিল। তাওয়াং এর ইয়াংসে সেনা পোস্টকে নিশানা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই তথ্য হাতে পেয়েই দেরি করেননি সেনা অফিসাররা। পাহাড়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ৫০ জন জওয়ানের একটি বাহিনী ঘাঁটি গেড়ে বসে ছিলেন।

তাওয়াং এ মোতায়েন সেনা অফিসাররা জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বর প্রায় ৩০০ সেনার একটি চিনা বাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী অল্প কয়েকজন ভারতীয় জওয়ানকে চিনা লাল ফৌজ এর সামনে পাঠানো হয়। জওয়ানরা তাদের বাধা দিলে শুরু হয় বচসা। তখন চিনা ফৌজ ভারত ও ভারতীয় সেনাকে গালিগালাজ শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয় হাতাহাতি। সংঘর্ষে শুরু হতেই পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভারতীয় সেনার বাকি জাওয়ানরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারদিক থেকে প্রবল পাথর বৃষ্টি শুরু করে তারা। একই সঙ্গে কাঁটা লাগানো লাঠি দিয়ে বেদম মারতে থাকে লাল ফৌজের জওয়ানদের।মারখেয়ে কোনওমতে প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের বাঙ্কারের দিকে দৌড়ে পালায় লাল ফৌজের জাওয়ানরা। তখন তাদের তাড়া করে ভারতীয় জওয়ানরা।

ভারতীয় সেনাকে বাংকারের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ভয় পেয়েছিল চিন। নিজেদের পোস্ট হারানোর ভয়ে আকাশে গুলি ছুড়তে থাকে চিনা সেনারা। পাহাড়ে পাল্টা পজিশন নেয় ভারতীয় সেনাও। পরে দু’তরফেই লাউড স্পিকার বাজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। গোটা অপারেশনে ভারতীয় সেনার দুটি রেজিমেন্টের জওয়ানরা ছিলেন। ভারতীয় সেনারা আহত জওয়ানদের অধিকাংশেরই মাথায়, কবজি ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *