আমাদের ভারত, ১৩ এপ্রিল: ওয়াকফ সংশোধনী আইন ইস্যুতে উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। জেলাজুড়ে অশান্তির আবহ। মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মুর্শিদাবাদের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে। তাঁর দাবি, দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল এই হিংসা।
এক্স স্যান্ডেলে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, আমরা বারবার বলেছি ধর্মান্ধ মৌলবাদী দানবদের এই হিংস্র তান্ডব কোন নির্দিষ্ট আইনের বিরোধিতা করে নয়। পশ্চিমবঙ্গের নিরীহ বাঙালি হিন্দুদের ওপর এই নারকীয় পৈশাচিকতা আদতে দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল। ইসলামী মৌলবাদীদের সন্ত্রাসের চূড়ান্ত বর্বরতায় একদিন যেভাবে ওপার বাংলা থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের এপারে আসতে হয়েছিল উদ্বাস্তু হয়ে, আজকের মুর্শিদাবাদ তার আদর্শ প্রতিফলন।
ধুলিয়ানের হিন্দু প্রধান গ্রামগুলিতে পানীয় জলে বিষক্রিয়া থেকে শুরু করে হিন্দুদের উপাসনালয় ধ্বংস করা, নির্বিচারে হিন্দুদের খুন, মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট করা, এগুলো কি আদৌ আন্দোলনের অংশ? ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তার স্বপ্নের গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর বরাত যাদের কাঁধে দিয়েছেন তার শুরুটা আসলে মুর্শিদাবাদ থেকে হয়েছে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা এখনই জাগরিত এবং সংগঠিত না হলে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে হিন্দুদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার এই জঘন্য সংক্রান্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল থেকে ওয়াকফ আইন ইস্যুতে মুর্শিদাবাদে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। ঘর- বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত জানায়, আইন শৃঙ্খলা- শান্তি বজায় রাখতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুর্শিদাবাদে সিআরপিএফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্যের অন্যত্র যদি অশান্তি হয় সেখানেও বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বাহিনীকে রাজ্যকে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে। কোথায় কত বাহিনী ও পুলিশ থাকবে তা দুই নোডাল অফিসার এডিজে আইন শৃঙ্খলা ও এডিজি সিআইএসএফ যৌথভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। ১৭ তারিখ পৃথকভাবে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রকে।