আমাদের ভারত, বনগাঁ, ১৮ জানুয়ারি: “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন না, নন্দীগ্রামের মানুষের কাছ থেকে উনি পালিয়ে যাবেন, আর যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়ান তাহলে ওনাকে কঠিন লড়াই দেবে বিজেপির কর্মীরা “সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুর নগরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর মন্তব্য প্রসঙ্গে একথাই বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। তিনি বলে, সত্যিই যদি দঁড়ান তা হলে বুঝতে হবে নিজের কেন্দ্রে হেরে যাওয়ার ভয়ে কেন্দ্র পালটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
আগামী ৩০ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের সঙ্গে সভা করতে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ। তার আগে সোমবার দুপুরে ঠাকুরবাড়িতে এলেন মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়।এদিন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরবাড়িতে যে মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করেছিলেন এ দিন সেই সভার মাঠ ঘুরে দেখেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বজায়বর্গী। এদিন ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক বৈঠকে কৈলাশ বিজায়বর্গীয়কে পাশে নিয়ে মুকুল রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই ২১শের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়বেন বলুন না কেন
শেষ পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন না! কারন উনি নন্দীগ্রামের মানুষকে এড়িয়ে যাবেন, উনি নন্দীগ্রামের মানুষের কাছ থেকে পালিয়ে যাবেন। আর যদি সত্যি উনি ওই কেন্দ্রে দাঁড়ান তাহলে বুঝতে হবে নিজের কেন্দ্রে হেরে যাওয়ার ভয়ে কেন্দ্র পালটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে উনি যেখান থেকেই ভোটে দাঁড়ান না কেন তাতে বিজেপির কিছু এসে যায় না, কারন বিজেপির কর্মীরা প্রস্তুত আছে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ফাইট করতে। উনি দুই জায়গা থেকে বিধানসভা নির্বাচনের দাঁড়াতেই পারেন তবে উনি এক জায়গায় দাঁড়ালে হেরে যেতে পারেন তাই আর একটি জায়গা বেছে নিচ্ছেন।” সেই সঙ্গে মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী গণ আন্দোলন থেকে উঠে এসেছে , শুভেন্দু গণআন্দোলনের ফসল, ছাত্র যুব আন্দোলন করেই উঠে এসেছে, তাই শুভেন্দুকে ঠেকাতে আলাদা করে ছাত্র যুব দের বিশেষ ভাবে আহ্বান করে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ কোনও সুবিধা হবে না।”