President, CM, Chancellor, আচার্য হওয়া হলো না মুখ্যমন্ত্রীর! বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত দুটি সংশোধনী বিলেই সম্মতি দিলেন না রাষ্ট্রপতি

আমাদের ভারত, ১৫ ডিসেম্বর: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত দুটি সংশোধনী বিলে সম্মতি দিলেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিশ্লেষক মহলের বড় অংশের মতে এই বিলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তো। যা এই মুহূর্তে আর হলো না।

রাজ্যের সহায়তা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্যপাল তথা আচার্যের ক্ষমতা বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট বিলগুলিতে। আর তাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না পাওয়ায় আপাতত তা কার্যকর হচ্ছে না। রাজভবন সূত্রে খবর, গত কুড়ি এপ্রিল ২০২৪ পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল ২০২২ রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত রেখেছিলেন রাজ্যপাল। ওই বিলে রাজ্যের সহায়তা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাব ছিল।

একই দিনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল ২০২২- ও রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। ওই বিলেও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আমির ইজ জামিয়া অর্থাৎ চ্যান্সেলর পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া ছিল, কিন্তু রাষ্ট্রপতি সই করেননি।

বর্তমানে রাজ্যের সহায়তা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মূল আইনে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তাঁর পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন।

এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির উক্ত দুই সংশোধনী বিলে সম্মতি দেওয়া থেকে বিরত থাকলেন বলে জানানো হয়েছে। ফলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে চ্যান্সেলর পদে কোনো পরিবর্তন আপাতত হচ্ছে না। নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপাল নন, আনা হোক মুখ্যমন্ত্রীকে। সংশোধনের কাজ শুরু করে আইনসভা।

এরপর সেই সংক্রান্ত বিল পাস হয় বিধানসভায়। তা পরবর্তীতে তৎকালীন রাজ্যপাল পাঠান রাষ্ট্রপতির কাছে। তবে সেই বিলে সই করেননি রাষ্ট্রপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *