আমাদের ভারত, ১৭ ডিসেম্বর: যুবভারতীতে মেসিকে ঘিরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। সাধারণ মানুষ নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্রিড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু এই পদত্যাগ করা নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বললেন, পদত্যাগ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল কান ধরে ওকে বসিয়ে দেওয়া বা সাসপেন্ড করা।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দুই মন্ত্রীর (অরূপ বিশ্বাস ও সুজিত বসুকে) ইস্তফা বা পদত্যাগ নয়, বরং মুখ্যমন্ত্রীর এদের দু’জনকে সরিয়ে দেওয়া অর্থাৎ ডিসমিস করা উচিত ছিল। তাঁর মতে, পদত্যাগ বা ইস্তাফা দেওয়া মানে হচ্ছে তাকে স্বসম্মানে বেরিয়ে যেতে দেওয়া। কিন্তু এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল কান ধরে ওকে বসিয়ে দেওয়া বা সাসপেন্ড করে দেওয়া। অর্থাৎ ওকে ওর থেকে সরিয়ে দেওয়া। তাঁর অভিযোগ, এটা অত্যন্ত দরকারই ছিল, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করেননি।
একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি পুলিশের ডিজিপি দায়ী হয়, তাহলে পুলিশমন্ত্রী কেন দায়ী হবে না?”
এর আগে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেছেন, রাজ্যের মর্যাদা বিশ্ব দরবারে ক্ষুন্ন হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তার অনুগত প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা- কর্মীদের মধ্যে ন্যূনতম আত্মসমালোচনার মনোভাব দেখা যায়নি, বরং দ্বিগুণ অহংকার নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্যে সচেতন ও প্রতিবাদী মানুষের প্রবল চাপের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিবকে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তথাকথিত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই পদক্ষেপ আদতে প্রহসন মূলক নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ খুব ভালো করেই জানেন যে এই পদক্ষেপের বাস্তব গুরুত্ব বা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নেই।
তিনি বলেছেন, দুটি প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়ে গেছে। মন্ত্রিসভায় বিতর্কিত যাকে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে সেলফিশ্রী মন্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কেন তাকে গ্রেফতারের কোনো নির্দেশ জারি করা হয়নি? তাঁর অভিযোগ, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়াবিদ লিওনেল মেসির সঙ্গে জোরপূর্বক আলিঙ্গন, প্রকাশ্যে নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন, সেলফি তোলার অসভ্য আচরণ। এই সমস্ত ঘটনার পরেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

